
শহিদুল ইসলাম,মুকসুদপুর (গোপলগঞ্জ) প্রতিনিধি:- গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গড়ে উঠেছে প্রায় এক হাজার অস্থায়ী শুঁটকির চাতাল বৃহত্তর মুকসুদপুর বর্তমানে শত শত চাতালে টন টন শুঁটকি উৎপাদন হচ্ছে। আর এ মাছের শুঁটকি উৎপাদনের পেছনে রয়েছে কয়েক হাজার নারী শ্রমিক। উপজেলার সদরে চান্দার বিল, বাঘিয়ার বিল, উজানীর বিল, এ ছাড়া বাঁশবাড়ির বিল, লখন্ডার বিল। এই উপজেলায় মোট ১৯টি বড় বিল রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে অসংখ্য খাল, নদী, পুকুর ও মাছের ঘের। এ থেকে বিপুল পরিমাণ পুঁটি, বজুরি, শোল, টাকি, গজার, কই, টেংরা, চিংড়ি, বাইন, চাপিলা, পোয়া, খৈলশা, ভেটকি, পাবদা, আইড়, মলা, ঢেলা, ভেদা প্রভৃতি মাছ আহরিত হয়। আহরিত মাছ স্বল্পমূল্যে কিনে শুঁটকি তৈরি করে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে অনেক শুঁটকি চাতাল মালিক বড় অঙ্কের টাকা উপার্জন করেন।
দেশি মাছকে কেন্দ্র করে মুকসুদপুর এবারো গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মিলে প্রায় হাজার অস্থায়ী শুঁটকির চাতাল। চলতি শুঁটকি মৌসুমে এসব চাতাল থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের শুঁটকি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। মুকসুদপুরে হাজার হাজার নারী চলতি মৌসুমে এ শুঁটকি তৈরির কাজে জড়িত রয়েছেন। এরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শুঁটকি তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন। মাছ ধরে কাটা-ধোয়াসহ রশিতে বেঁধে চাতালে বিছিয়ে শুকানো থেকে প্যাকেটজাতকরণ এবং পরিবহনে তুলে দেয়ার কাজও ওই নারী শ্রমিকরাই করেন। এসব নারী শ্রমিক প্রতিদিন হাজিরায় কাজ করেন। কাজের ধরন অনুযায়ী তারা মজুরি পান ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এ কাজ করে তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন। শুঁটকি তৈরি কাজে নিয়োজিত নমিতা, বীণা, সবিতা, তৃপ্তি, মালতী, নার্গিস, ববিতা, সীমা, তারা বানুসহ হাজার হাজার নারী শ্রমিক। শুঁটকিশ্রমিক নমিতা বিশ্বাস জানান, ‘তিন কেজি তাজা মাছ শুকিয়ে এক কেজি শুঁটকি তৈরি হয়।’ আরেক শুঁটকিশ্রমিক সীমা রানী বালা বলেন, ‘ছয় মাস বইসা থাকি আর ছয় মাস এই শুঁটকি চাতালে কাজ করি।’ শুঁটকিশ্রমিক তৃপ্তি বিশ্বাস জানান, ‘শুঁটকি মৌসুম এলে কাজ করে ভালোই আয় হয়। স্বামী-ছেলে নিয়ে সংসার চলে যায়।