শাহীন আলম :
মুরাদনগরে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি দখল ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জায়গার প্রকৃত মালিক ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়িবৃন্দ। বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্নে এ মানববন্ধন করা হয় । মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২০/০৪/১৬ ইং মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রউফ তালুকদারের নেতৃতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মুরাদনগরে অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযান চালায়। এ অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযানে আমাদের কোন আপত্তি নেই, কিন্তু পূর্বে নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযানের উদ্ধারের নামে একর বহি:ভুত পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি যা ৬৬ নং মুরাদনগর মৌজার, দলীল, খারিজ , বিএস মূলে বৈধ মালিকানাধীন সম্পত্তি, দোকান-পাট ও মালামাল ভাংচুর করে। এ অভিযান চলাকালীন আমরা বৈধ মালিকগণ মূল দলীল সহ যাবতীয় কাগজ পত্র জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হস্তান্তর করার চেষ্টা করলে তিনি দলীল না দেখেই মালামালের ক্ষতিপূরণ দাবী ও সম্পত্তির প্রকৃত মালিকদেরকে কোর্টে মামলা করতে বলেন। পরে আমাদের ব্যবসায়ীক মালামালসহ বুলডুজার দিয়ে ভাংচুর করে। মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা ও প্রকৃত জায়গার মালিকরা স্ব- দলীল উচু তুলে ধরেন । ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানায়, জেলা প্রশাসনের একর করা জমি ছাড়াও প্রকৃত মালিকানাধীন ৭ টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়েছে । ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ মালামালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা উল্লেখ করে অবিলম্বে এ ক্ষয়ক্ষতি পূরণের দাবীসহ আমাদের নিজ নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ফেরত চাই। মালিকগণ আরও জানায়, যদি প্রশাসন থেকে কোন সুফল নাই পাই আমরা আইনের আশ্রয় নিবো। উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের নামে প্রকৃত মালিকানাধীন সম্পদসহ সোনালী ফার্মেসী, মনির ফার্নিচার মার্ট, সালমা ট্রেডার্স, মাসুদ ভেরাইটিজ স্টোর, মদিনা হার্ডওয়ার, মা ফার্মেসী, বিসমিল্লাহ মিশনারিজসহ ৭-১০ টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ভাঙচুর করে । মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৃত মালিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে মো: নায়েব আলী সরকার, আবদুল হাকিম, মফিজ মিয়া, সামসুল হক, দেলোয়ার হোসেন, মাসুম, আসাদ মিয়া, শাহ আলম, আবদুল মালেক, ভুচ্চু মিয়া, মনির হোসেন, মোসলেম মিয়া, বাবুল মিয়া প্রমুখ ।