২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




মৌলভীবাজারে মাটি খেকোর থাবায় ধলাই নদীর পাড় নি:শেষ !

মোহাম্মদ ইমন মিয়া, বাঙ্গরা,কুমিল্লা করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : মার্চ ০৪ ২০১৮, ১৮:৩৮ | 740 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

সৈয়দ মুন্তাছির রিমন::

বিভিন্ন খেকোর পর এবার নদীর পাড় খেকোর আর্বিভাব।  মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর পাড়ের মাটি খেকোরা অবৈধভাবে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়।বিভিন্ন ইটভাটায় কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন বিভিন্ন ইটভাটায়। এতে চরম হুমকির মুখে পড়েছে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ।উপজেলার বিভিন্ন  ইটভাটার মালিক স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে এসব মাটি নিয়ে যাচ্ছে ভাটায়।স্থানীয়রা অভিযোগ করেন-এলাকার প্রভাবশালী গফুর মিয়া.মনা চৌকিদার. মখাই মিয়া  প্রতিবছর ধলাই  নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করেন। এবছরও ধলাই নদীর পাড় কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন  ব্রিকস ফিল্টে। আর ট্রাক্টরে করে এসব মাটি আনা-নেওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এলাকাবাসী এ কাজে অনেক বার বাধা দিলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। বরং বিভিন্নভাবে নেতাদের নাম ভাংগিয়ে  তাদের ভয় দেখিয়ে ধমিয়ে রাখা হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, মাটি কাটার মেশিন দিয়ে ও কুদাল দিয়ে নদীর পাড় খনন করে মাটি নেওয়া হয়েছে  ইটভাটায়। প্রতিরক্ষা বাঁধ কেটে তৈরি করা হয়েছে মাটিবাহী গাড়ি চলাচলের রাস্তা। ভারী ওজনের মাটিবাহী ট্রাক ও ট্রাক্টরের চলাচলে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ি চলাচল করায় রাস্তার ধুলাবালিতে এলাকাবাসী বিপাকে পড়েছেন। এলাকাবাসী জানান নদী পাড়ের মাটি কাটার ফলে বন্যার সময় দ্রুত পানি এসে প্রতিরক্ষা বাঁধে আক্রমণ করবে। তাদের মাটির গাড়ি চলাচলে যে ক্ষতি হচ্ছে তাতে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। এতে আশপাশের প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। ভুক্তভোগী এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমরা বারবার নিষেধ করার পরও তারা কোনো কথা শুনছে না। বন্যা হলে বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে থাকি। এর জন্য দায়ী এই অসাধু মাটি বিক্রেতা ও ক্রেতারা। এবার যেভাবে বন্যা হয়েছে, আগামী বছর যদি এভাবে বন্যা হয়, তাহলে ভাঙন নিশ্চিত। মাটি বিক্রেতা গফুর বলেন.প্রতিবছর মাটি বিক্রি করছি এতে কোন সমস্যা হচ্ছেনা। স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন বলেন.এব্যাপারে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেছেন.আমি নিজেও অনেক ফরিয়াদি হয়েছি কোন সফলতা আসেনি।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র সংকর চক্রবর্ত্তী জানান, নদী পাড়ের মাটি কাটা বা বিক্রি করা সম্পূর্ণ অবৈধ। নদীর পাড় ক্ষতিগ্রস্থ হলে প্রতিরক্ষা বাঁধে তার প্রভাব পড়বে।এভাবে মাটি কাটা সম্পুর্ণ নিষেধ। এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন. এবিষয় আমার জানা নাই তবে খোজ-খবর নিচ্ছি।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET