সৈয়দ মুন্তাছির রিমন :- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শ্যামেরকোনা হাফিজিয়া এতিম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পারভেজ মিয়া কর্তৃক এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে ৬ মে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মডেল থানার নিয়ে পুলিশ। সর্বশেষ প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে- মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক বলাৎকারের শিকার “ মু” অদ্যক্ষকের ছাত্র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও থানায় লিখিত অভিযোগ না দেওয়া রাতেই ঐ শিক্ষককে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। শ্যামেরকোনা হাফিজিয়া এতিম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক পারভেজ মিয়ার বাড়ী সিলেট জকিগঞ্জ থানার আট গ্রাম। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ হাফিজিয়া এতিম মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে পারভেজ নামক এই শিক্ষক ছাত্রদের দিয়ে শুয়ার রুমে ও ক্লাস চলাকালীন হাত-পা-মাথা মেসেজ করান। সরেজমিন মাদরাসায় গিয়ে জানা যায়- গত ২সপ্তাহ ধরে হাফিজিয়া মাদ্রাসার নির্য়াতনের শিকার ছাত্র “মু” আহমদ এর অভিযোগের ভিত্তিতে দফায় দফায় মীমাংসার চেষ্টা করে শেষ রক্ষা হয়নি। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে মডেল থানার এসআই নুর উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ পারভেজকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার সুপারিশে তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়। বলাৎকারের শিকার মাদরাসার ছাত্র সাংবাদিকদের বলেন- হুজুর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাকে জোরপূর্বক খারাপ কাজ করতেন। এসব জ্বালা সইতে না পেরে আমি বাড়ীতে চলে যাইতে চাইলেও হুজুর আমাকে যেতে দিতেন না। শ্যামেরকোনা দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- গত ৩দিন আগে ২জন ছাত্র আমার কাছে অভিযোগ করেছে। ছাত্ররাও এই শিক্ষকের কাছে পড়তে অনিহা প্রকাশ করেছে। মাদরাসার প্রতিষ্টাতা মাওঃ ফয়জুর রহমান ওরফে জকিগঞ্জী হুজুর জানান- ঘটনা আমি শুনেছি। এই শিক্ষকের বিরুদ্বে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। তাকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করা হবে। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উক্ত মাদরাসার সভাপতি রাশেদা খানম স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বরাত দিয়ে জানান- স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমাছ মিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি থানায় প্রাথমিক ভাবে মীমাংসা হয়েছে। এখন আমরা বৈঠকের মাধ্যমে ছুড়ান্ত সিদ্বান্ত নিবো।