
এম এ মালেক,সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের যমুনার বুকে প্রায় ৪ বছর আগে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় মিটুয়ানী গ্রাম আর সেই থেকেই যমুনার বুকে দাড়িয়ে আছে ব্রিজটি। দাড়িয়ে থাকা মিটুয়ানী ব্রিজটি বর্তমানে কোন প্রয়োজনে না আসায় দ্রুত অপসারনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ব্রিজটি থাকার ফলে নদীর মাঝে দাড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী নৌকার ধাক্কা লেগে মাঝে মধ্যেই ঘটছে প্রাণহানি,ব্যাহত হচ্ছে নৌ চলাচল। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই ব্রিজটি অপসারন করা না হলে বড় ধরেনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নৌ পথের যাত্রী ও চালকদের এমন টাই বললেন, স্থানীয় স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানায়, যমুনা বিধ্বস্ত চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য ১যুগ আগে বাঘুটিয়া
ইউনিয়নের মিটুয়ানী বাজার সংলগ্ন প্রায় ৭৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে গার্ডার ব্রিজটি নির্মান করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
কিন্তু ২০১৪ সালের বন্যায় যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে মিটুয়ানী বাজার, গর্ডার বিজ্রের সংযোগ
সড়ক, সাড়ে ৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তাসহ বিশাল এলাকা বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে নদীর পূর্ব পাড় হতে ব্রিজটি আধা কিলোমিটার
ভিতরে দাড়িয়ে আছে।
দক্ষিণাঞ্চলের দীর্ঘ পাকা সড়ক নদীতে চলে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উপজেলা সদরে
যাতায়াতের জন্য নৌপথই এখন একমাত্র ভরসা। মিটুয়ানী থেকে সম্ভুদিয়া পর্যন্ত নৌ সার্ভিস চালু হওয়ায় অন্তত ১২টি নৌকায় সাড়ে ৯ হাজার
মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে ।
এছাড়া উত্তরাঞ্চলের বগুড়া, নওগা, সিরাজগঞ্জ, ভুয়াপুরে পন্য ও যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল করে
এপথে। ব্যস্ততম এ নৌপথের মাঝে বিশাল আকৃতির এ ব্রিজটি দাড়িয়ে থাকায় প্রতিনিয়তই ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নৌকার চালক ও
যাত্রীদের।
নৌকার মাঝি রুহুল আমিন ও সাদেক আলী বলেন, মিটুয়ানী বিজ্রের সাথে ধাক্কা লেগে দুই বছর আগে ৯জন নিহত সহ বেশ কয়েকজন নিখোজ ছিলো। ব্রিজটি দ্রুত অপসারন করে নিরাপদ নৌ যোযোযোগ চালুর দাবি জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিকট আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাহার সিদ্দিকী বলেন, মিটুয়ানী গার্ডার ব্রিজটি এখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দ্রুত অপসারন করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ব্রিজটি অপসারনে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনিছুর রহমান বলেন, গার্ডার ব্রিজটি অপসারনের বিষয়ে মঙ্গলবার মাসিক সভায়
বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে কথা বলে উপজেলা প্রশাসন ও এলজিইডি দ্রুত এর সিদ্ধান্ত নেবে।