
স্টাফ রিপোর্টার : যশোরে সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক রাকিব হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে শহরের নীলগঞ্জে তার ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাকিবকে উন্নত চিকিৎসা দিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহত রাকিব নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার জাকির হোসেনের ছেলে।
এদিকে তার ওপর হামলার প্রতিবাদের সিটি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এসময় সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ হোসাইন ইকবাল যশোর জেনারেল হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক ভাংচুর করেছে। সেসময় সেখানে কর্তব্যরত টেকনিশিয়ান ও তার সহকারি আহত হয়েছেন। আবাসিক মেডিকেল অফিসারের মোবাইল ফোন নং দিতে না পারায় এই তান্ডব চালানো হয় বলে আহত টেকনিশিয়ানরা জানিয়েছেন।
আহত রাকিব হাসানের চাচা বাবু, জানান গত মঙ্গলবার নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার মোড়ে ট্রাকে টোল তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কালু ও সাগরসহ কয়েকজনের সঙ্গে রাকিব হাসানের বিরোধ বাঁধে। পরিবহন শ্রমিক নেতা কামরুল বিষয়টি মিমাংশা করে দেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাকিব হাসান নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার মোড়ে সাহেব আলীর দোকানে বসে বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলেন। এসময় কালু, সাগরসহ ১০/১৫জন তার ওপর হামলা চালায় ও ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
যশোর জেনারেল হাসপাতালে টেকনিশিয়ান সাইফুল ইসলাম জানান, রাত ৮টার দিকে ছাত্রলীগ সিটি কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান ছুরিকাহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাৎক্ষনিক তার রক্তের ব্যবস্থা করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাকে খুলনায় রেফার্ড করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ সিটি কলেজ শাখার সভাপতি মারুফ হোসাইন ইকবাল তার কাছে আবাসিক মেডিকেল অফিসারের মোবাইল ফোন নম্বর চান। তিনি ফোন নং দিতে না পারায় ইকবাল ব্লাড ব্যাংকের বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করেন এবং তাদেরকে ধরে রোগির কাছে নিয়ে যান। ভাংচুরের সময় কাঁচের আঘাতে তিনি ও তার সহকারি রফিকুল ইসলাম আহত হন। এরপর ইকবাল তার সঙ্গীদের নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।