
পৌষ মাস বিদায় দিনে যশোরে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। শনিবার ৩০ পৌষ সকাল থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত যশোর অঞ্চলের আকাশ ছিল প্রায় সূর্য বিহীন। খুব ভোর থেকে গোটা যশোর অঞ্চলের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সব খানে ঘন কূয়াশা দেখা গেছে। অতিমাত্রা ঠান্ডার কারণে খেটে খাওয়া দিন মুজুর নারী পুরুষেরা খুবএকটা ঘর থেকে বের হয়নি। শনিবার পৌষ মাসের ৩০ তারিখে যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক শুন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস। শীতের কারণে যশোর অঞ্চল জুড়ের বিভিন্ন স্থানে নিন্ম আয়ের মানুষ একটু গরম অনুভবের আশায় আগুন জ্বালিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার কারণে যশোরের সাথে দেশের সকল জেলার যোগাযোগ সড়কে চলাচলরত দূর পাল্লার যানবাহন হলুদ বাতি জ্বালিয়ে ঘন্টায় ১০ কিলোমিটার গতি সীমা রেখে চলাচল করছে। বিমান ও ট্রেনের সময় সূচীর কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। ঘন কূয়াশার কারণে ঝুঁকি নিয়েও ট্রেন ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও কোথাও কোন দূর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এভাবে ঘন কূয়াশা অব্যাহত থাকলে শীতের সবজি উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা করছে সবজি উৎপাদনকারী কৃষকেরা। তারা ইরি ব্লক রোপনে চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। অব্যাহত শীত দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় শীত বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারী হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসহাসপাতাল গুলিতে শীত বাহিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাসপাতাল
গুলিতে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, অতিমাত্রা শীতের কারণে অ্যাজমা রোগ, ঘা পাচড়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে শিশু ও বৃদ্ধ ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন। গত কয়েকদিনের অব্যাহত শীতে যশোর অঞ্চলে শীতের সবজি থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছে। সবজির ক্ষতি হওয়ায় বাজারে শীতের সবজির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস সূত্রে বলা হয়েছে। আগামী মাঘ মাষে যশোর অঞ্চল দিয়ে শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।