চিকিৎসা দেওয়ার নামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন ও চর্ম বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রিয়াদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক যৌন হয়রানি ও একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর নির্যাতিতার বাবা কামাল হোসেন বাদী হয়ে গতকাল সোমবার শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছেন।
অনেকের কাছে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে একবার ধর্ষিত হওয়ার পরও কেন ওই ছাত্রী ওই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলেন? আসলে ওই ছাত্রী পরবর্তীতে চিকিৎসা নিতে যায়নি, তাকে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। মামলার এজহার থেকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়।
এতে বলা হয়, গত বছরের ৬ অক্টোবর দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী মো. রিয়াদ সিদ্দিকীর কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে ওই ডাক্তার তাকে বিবস্ত্র করে স্পর্শকাতর জায়গাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মলম লাগায়। এ সময় ছাত্রী বাধা দিলে ডাক্তার তাকে বাধা দেওয়ার জন্য তাকে শাসায় এবং কাউকে না জানানোর কথা। মেয়েটি লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টা কাউকে জানায়নি। পরবর্তী তারিখে চিকিৎসা নিতে গেলে ওই ডাক্তার প্রথমে তাকে বিবস্ত্র করে মলম লাগায়। এরপর ধর্ষণ করে। সেই দৃশ্য ভিডিও করে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওই চিকিৎসক তখন মেয়েটিকে হুমকি দেয়, ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। ফলে ভয়ে মেয়েটি কাউকেই বিষয়টি জানায়নি।
পরবর্তীতে মেয়েটি আর ওই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে যায়নি। তখন ফন্দি করে ডা. রিয়াদ সিদ্দিকী মেয়েটির পরিবারকে জানান, তার (মেয়েটির) শরীরের মরণব্যাধী বাসা বেঁধেছে। এবং তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড বসানো হবে। ডা. রিয়াদ সিদ্দিকীর কথা মতো মেয়েকে নিয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হন। তখন পরিবারের লোকজনদের অপেক্ষা করতে বলে ওই ডাক্তার মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লকের চতুর্থ তলার একটি নির্জন রুমে নিয়ে ধর্ষণ করতে গেলে ওই ছাত্রী কান্নাকাটি ও চিৎকার করে। এ সময় ওই ডাক্তার তাকে ওপর থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং জোরপূর্বক আবারও ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।