নয়া আলো-
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হক টুকু গুলিতে নিহত হয়েছেন।
রোববার বিকেলে রাজশাহী নগর ভবনের সামনে নিজ চেম্বারে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
গুলিবিদ্ধ টুকুকে দ্রুত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে টুকুর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করছেন, টুকু নিজের রিভলবার পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতাবশত গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এটি হত্যাকাণ্ড না কি সেলফ ফায়ারিং তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
টুকু মুলত ঠিকাদারী ব্যবসা করতেন। এছাড়া রেলওয়েসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে টুকুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ও গ্রুপের ঝামেলাও হয়।
লাইসেন্স করা অস্ত্র বের করে রেল ভবনে প্রকৌশলীকে হুমকি দিয়েছিলেন টুকু। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্যদিকে টুকুর চেম্বারকে ঘিরে রেখে ঘটনার সময় কারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাদের খোঁজ করছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।