রাজশাহীর বাঘা উপজেলা চত্বরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে ১৩৫ প্রজাতির আম।
বৃহস্পতিবার সকালে এ মেলার উদ্বোধন করেন উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলায় স্থান পেয়েছে রুপসিদুরী, টাকুরভিটা, নয়নচন্ডি, খাগরাই, রংবিলাস, ইঁদুরচাটা, মল্লিকা, তোতাপুরী, বাদলী, চাপাতি, দরগাভোগ, মধু চুষকা, কালিভোগ, জগতমোহনী, কলাবতি, বালেনি, মায়াবতি, বিশ্বসুন্দরী, ভাদরী, জাইতুন, আপেলভোগ, মায়াবতী, কহিনুর, জালিবান্ধা, দুধকোমর, চন্দনসুরি, খাগরাই, বঙ্গবাসী, মধুরানী, বিশ্বসুন্দরী, হাতিঝোলা, লাখে এক, বেলী, সূর্য ডিমসহ ১৩৫ প্রজাতির আম।
দর্শনার্থীরা বলছেন, নাম না জানা অসংখ্য আমের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছেন এ মেলায়। বিলুপ্তপ্রায় জাতগুলো সংরক্ষণেও উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান তাদের।
মেলায় ঘুরতে আসা নাহিদ হাসান বলেন, বাঘায় প্রতিবছর মেলায় বিভিন্ন প্রজাতির আম ওঠে। এসব আম দেখতে প্রতিবার আসি। নানা জাতের আমের সঙ্গে পরিচিত হই। এবারো অনেক নতুন প্রজাতির আম দেখলাম।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময় বাঘাসহ আশপাশে অনেক প্রজাতির আম ছিল। সেগুলো এখন আর নেই। উচ্চফলনশীল জাতের কারণে আদি জাতের আম এখন স্মৃতির পাতায়।
নেশার উদ্দিন নামে এক আম চাষি জানান, এই মেলার মাধ্যমে অনেক প্রজাতির আম দেখা যায়। এগুলো দেখে অনেকেই কিনতে আগ্রহ দেখায়। এমন আয়োজনে এ অঞ্চলের আমের বাণিজ্যিক চাহিদা আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা তাদের।
বাঘা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, এক সময় রাজশাহীতে প্রায় ৪০০ প্রজাতির আম ছিল। কালের বিবর্তনে এসব জাত হারিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যিকীকরণ ও চাহিদার কারণে অনেক পুরাতন আমের জাত হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এসব আমের জাতের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে পরিচিতি করে দেওয়ার জন্যই এ উদ্যোগ। জাতগুলো সংরক্ষণের জন্য একটি প্লাজমা সেন্টার তৈরির বিষয়েও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে আলোচনা চলছে। আমের জাত যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য আরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।