ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে রাজশাহীতে পালিত হয়েছে পবিত্র আশুরা। এই উপলক্ষে শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিরোইল কলোনী ৪ নং রোডের মাঝখান থেকে রাজশাহীর প্রথম ইসলাম প্রচারক শহীদ হযরত তুরকান শাহ্ (র.আ.) ও হযরত শাহ্ মখদুম রূপোস (র.আ.) এর রওজা মোবারকের উদ্দেশ্যে শোকের স্মরণ র্যালি, গিলাফ পুষি অর্পণ ও মোনাজাত শেষে পুনরায় দরবারে যা খাতুনে জান্নাত (র.আ.)- এ এসে শেষ হয়।
বাদ মাগরিব জিকির ও মিলাদ মাহফীলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্জ্ব হযরত মাওলানা শফিকুল ইসলাম আল চিশতি-নিজামী। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পদ্মা আবাসিকের নূরে জান্নাত জামে মসজিদের পেশ ইমাম, হযরত মাওলানা মাহে আলম আল সুন্নী আল কাদেরী।
সভাপতিত্ব করেন পীরে কামেল গাউসে কুতুব নায়েবে রাসূল মাওলা ইসমাইল শাহ্ (র.আ.) নক্শাবন্দী। সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন শাহ্ আক্কাস আলী নক্শাবন্দী।
১০ মহরম পবিত্র আশুরা মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে এক বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক দুঃখজনক ঘটনা। ৬১ হিজরীতে ইরাকের কুফা শহরের অদূরে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে মাওলা ইমাম হুসাইন (আঃ) সহ ৭২ জন আহলে বাইয়াত প্রেমিক মুহাম্মদী দ্বীন ইসলামের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য শহীদ হন, যা প্রকৃত মুসলিম ও মুনাফেকের মধ্যে পার্থক্য চিহ্নিত করে গেছেন।
ইমাম হুসাইন (আঃ) এজিদের হাতে বাইয়াত গ্রহনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এবং এজিদকে ইমাম হুসাইন (আঃ) এর নিকট বাইয়াত গ্রহন করতে বলেন। ইমাম হুসাইন (আঃ) বলেন-নবীর নূর সত্য, কখনও মিথ্যা মোনাফেক এজিদের হাতে হাত দিয়ে বাইয়াত গ্রহণ করতে পারেনা। এরই প্রেক্ষিতে এজিদ যুদ্ধ ঘোষনা করে, যা বেদনাদায়ক আশুরা নামে পরিচিত।