
নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর ছয়টি আসনে ৩০ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটানিং কর্মকর্তা।রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের সভা কক্ষে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের প্রার্থীতা বৈধঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে তারা হলেন, রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক চৌধুরী, বিএনপির আভা হক, ওয়ার্কার্স পার্টির রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের আব্দুল মান্নান। রাজশাহী-২ (সদর) আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা, বিএনপির মিজানুর রহমান মিনু, সাহিদ হাসান, জাতীয় পার্টির খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের ফয়সাল হোসেন, সিপিবির এনামুল হক। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের আয়েন উদ্দিন এমপি, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, ইসলামী আন্দোলনের ফজলুর রহমান, সাম্যবাদী দলের সাজ্জাদ আলী, এলডিপির মনিরুজ্জামান। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রকৌশলী এনামুল হক, বিএনপির সাবেক এমপি আবু হেনা ও ইসলামী আন্দোলনের তাজুল ইসলাম। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের ডাঃ মুনসুর রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল ও বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবীবা, জাতীয় পার্টির আবুল হোসেন, বিএনএফের মখলেসুর রহমান, জাকের পার্টির শফিকুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম মো: ফারুক। রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, জেলা বিএনপির সহসভাপতি বজলুর রহমান ও নুরুজ্জামান খান মানিক, জাতীয় পার্টির ইকবার হোসেন ও ইসলামী আন্দোলনের আব্দুস সালাম সুরুজ।এদিকে,রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে মোট ৫৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ৩০টি মনোনয়নপত্রকে বৈধ ঘোষণা দেন। আর ২৩টিকে বাতিল করেন। বাদ পড়া তালিকায় বিএনপির সাত জন, জাতীয় পার্টির একজন, বাসদের একজন, নিবন্ধনহীন দল জামায়াতের ২ জন, ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশের একজন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের একজন, যুক্তফ্রন্টের একজন, এনপিপির একজন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৮ জন রয়েছেন। বাদ পড়াদের বিষয়ে জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বলেন, মামলার তথ্য গোপন করা, ঋণ খেলাপি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটার তালিকা দিতে না পারা ও তথ্যে অসঙ্গতি থাকার কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে তাদের আপিলের সুযোগ রয়েছে। আপিলে জিততে পারলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।