সরকারী কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে নেসকো কর্তৃক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী মোঃ নাসিম উদ্দীন। তিনি নাচোল সরকারী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।
তিনি জানান, গত ইং ২৫/১১/২০২০, মামলা নং-২৫৪/২০। ওই মামলায় উল্লেখ করা হয়। আসামী একজন খেলাফি ও অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী। তাহার নিজ নামীয় বৈদ্যুতিক সংযোগ যাহার হিসাব নং- ৫২৭/ডি-৩ এর মাধ্যমে নিজ অটো চার্জারে দোকানে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতেন। তাহার সংযোগটি বিছিন্ন করার পরও অবৈধভাবে সংযোগ গ্রহণ করেছেন। এই কর্মকান্ডের ম্যাধ্যমে প্রচলিত ১৯৭১ইং সালের/ (সংশোধিত-২০০৬) বিদ্যুৎ আইনের ৩২/৩৮ ধারায় বিধান মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন শিক্ষক। এই মর্মে উপরোক্ত ধারায় শিক্ষক মোঃ নাসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন, গোমাস্তপুর শাখা, চাপাইনবাগঞ্জের নেসকোর সহকারী প্রকৌশলী জুবাইর আল মাহমুদ। ওই মামলায় ১৭/০২/২০২১ তারিখে বিদ্যুৎ আদালত, রাজশাহীর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ আসাফ-উদ্-দৌলা শিক্ষক মোঃ নাসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে আনীত বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারায় অপরাধের অভিযোগ হইতে নির্দোষ গন্যে বেকসুর খালাস দেন এবং নেসকোর দায়েরকৃত মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। এরপর নেসকোর ওই প্রকৌশলী উদ্দেশ্যে প্রনোদীত ভাবে শিক্ষক মোঃ নাসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে ১৫/১১/২০২১ তারিখে পূণরায় একই ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩৭৫/২১। ওই মামলাটিও সত্য প্রমানিত না হওয়ায় গত ০৩/০৩/২০২৪ তারিখে বিদ্যুৎ আদালত, রাজশাহীর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ শাহাদত হোসেন। শিক্ষক মোঃ নাসিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে আনীত বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮ এর ৩২ ধারায় অপরাধের অভিযোগ হইতে নির্দোষ গন্যে বেকসুর খালাস দেন এবং নেসকোর দায়েরকৃত মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকারী কলেজের শিক্ষককে হয়রানীর বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে গোমাস্তপুর শাখা, চাপাইনবাগঞ্জের নেসকোর সহকারী প্রকৌশলী জুবাইর আল মাহমুদ তড়িঘড়ি জানান, আমি অফিসের পক্ষে থেকে মামলা করেছি, বিস্তারিত জানতে হলে অফিসে আসুন বলেই তার মুঠো ফোন কেটে দেন। এরপর বার বার তার ফোনে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তার ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে তার বিস্তারিত বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অনৈতিক প্রস্তাব ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর দায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ নাসিম উদ্দীন শীঘ্রই আদালতের দারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি।