দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ। পিছিয়ে নেই নারীরা। রাজশাহীর চারটি আসন থেকে ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে চান আওয়ামী লীগের চার নারী নেত্রী। এসব নেত্রীরা ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন কিনে জমা দিয়েছেন। তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক আগে থেকেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।
রাজশাহীর দুটি আসন থেকে মনোনয়ন চান সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠিনক সম্পাদক অ্যাড. আদিবা আনজুম মিতা। তিনি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী ও রাজশাহী-২ (সদর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন। এছাড়া রাজশাহী-১ থেকে দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য আয়েশা আক্তার ডালিয়া। তিনি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) থেকে মনোনয়ন তুলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহিলা আওয়ামী লীগের জেলা সহ-সভাপতি রোকসানা মেহবুব চপলা। এছাড়াও রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) থেকে মনোনয়ন তুলেছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনের সাবেক এমপি প্রয়াত তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুকের কন্যা তানজিমা শারমীন মুনি। মুনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রয়াত বদরুল ইসলাম তাপসের ছোটবোন।
রাজশাহী-১ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটি সদস্য আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া বলেন, আমি জন্ম গোদাগাড়ীতে। আমি এই এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছি। নারীদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণও করেছি। এই আসনে যদি দল থেকে মনোনয়ন পায় তাহলে সবারই ভাগ্য পরিবর্তন করতে আর সচেষ্ট হবো। তানোর-গোদাগাড়ী এলাকার মানুষজনকে শিক্ষিত করে দক্ষ মানুষ বানানো আমার লক্ষ্য। এই এলাকার আদিবাসীদের জন্য আমি কাজ করছি।
রাজশাহীর দুটি আসন থেকে মনোয়নন প্রত্যাশী অ্যাড. আদিবা আনজুম মিতা বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আমি রাজনীতির সাথে যুক্ত। রাজনীতির মধ্যে দিয়ে জনসেবা করে আসছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ সংরক্ষিত আসনের এমপি বানিয়ে জনসেবা করার আরও সুযোগ দিয়েছেন। আশাকরি নেত্রী আমাকে জনসেবা করার আরও সুযোগ দেবেন। তাই এবার আমি সরাসরি ভোটযুদ্ধে যাচ্ছি।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রোকসানা মেহেবুব চপলা বলেন, আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত আছি। দীর্ঘ ২৫ বছর রাজনৈতিক জীবন আমার। আমার বাবা স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে মোহনপুর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর আগে আমি দশম, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন তুলেছিলাম। সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য নবম, দশম ও একাদশ সংসদের জন্য মনোনয়ন তুলেছিলাম। এসব বিবেচনায় মনে করি আমি নির্বাচনের যোগ্য তাই দল থেকে আমাকেই মনোনয়ন দিবে বলে আশা করি।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত তাজুল ইসলাম মো. ফারুকের মেয়ে তানজিমা শারমীন মুনি বলেন, আমার এলাকায় বাবার অনেক অবদান আছে। আমার ভাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে অনেক কাজ করেছেন। এই এলাকার মানুষ আমার বাবা ও ভাইয়ের অভাববোধ করেন। এলাকার জনগণ আমার বাবা ও ভাইয়ের স্বপ্ন ও অসমাপ্ত কাজগুলো দেখছে চাচ্ছে। আমি তাদেরকে জনগণের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে ও অসমাপ্ত কাজগুলো করতে নির্বাচন করতে চাই।