
নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে স্ট্রেনথেনিং ইন্ডাষ্ট্রি ইন্সিটিটিউট লিংকেজ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০ টার সময় রাজশাহী পলেটেকনিক ইনষ্টিনিউটের কনফারেন্স রুমে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সচিব আলমগীর। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে যারা উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে অবস্থান করছে তারা এক দিনে হয়নি। তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। জাপান সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে দ্রুত উন্নয়নশীল দেশের পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের কারিগরী শিক্ষার প্রয়োজন আছে কিন্তু অনুধাবন করতে পেরেছি অনেক দেরিতে। আমাদের বাবা-মা রা চায় তাদের ছেলে-মেয়েরা ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমরা কেউ তেমন কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই না। বর্তমান সময়ে কারিগরী শিক্ষায় যুগান্তকারি পরিবর্তন এসেছে। সচিব বলেন, কোন সরকার একা দেশ চালায় না। সরকার অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করে থাকে। আর দেশ চালায় জনগন। আমরা আর অন্য উন্নত রাষ্ট্রের চেয়ে পিছিয়ে নেই। আমাদের সিমিত সম্পদ নিয়ে অনেক পথ এগিয়ে গেছি। আমাদের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ করতে হলে বিদেশ থেকে টেকনেশিয়ানদের নিয়ে আনতে হয় কাজের জন্য। আমাদের লোকবল দক্ষজনশক্তিতে রূপান্তরিত হলে বিদেশ থেকে টেকনেশিয়ানদের নিয়ে আনা লাগবে না। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কারিগরী শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, এসটিইপি এর প্রকল্প পরিচালক এবিএম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন, কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। পেপার উপস্থাপনা করেন, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর অধ্যক্ষ শাহাদত হোসেন, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ শাহ আলম মজুমদার । এর আগে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেন্সর ট্যাপে সুপ্রিয় পানি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন, কারিগরী ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সচিব আলমগীর। প্রকল্প বাস্তরায়ন করেন, শিক্ষক প্রকৌশলী এসএম আজম উল্লাহ, প্রকৌশলী শিক্ষক সুমন সাহা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন, চতুর্থ পর্ব ইলেক্টক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির কাফি রিয়াদ। সৌর বিদ্যুৎ চালিত সেন্সর ট্যাপের সুবিধাগুলো হচ্ছে, কোন হাতের ছোয়া ছাড়াই ১২০ ফিট গভীরের সুপেয় পানি সংঙ্কৃয় ভাবে একটি সৌর বিদুত চালিত পাম্প দ্বারা তিন’শ লিটার রিজার্ভ ট্যাংক পূর্ণ করবে। এই ট্যাপের সামনে হাত অথবা গ্লাস নিলে পানি সংঙ্কৃয় ভাবে পানি বের হয়ে আসবে। এতে করে পানি অপচয় হবে না। রাজশাহীর ঔতিহ্যবাহি রাণী হেমন্ত কুমারীর পানি ঢোপকল এর ইতিহাস ধারণ করে এটা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ এবং উপাধ্যক্ষ এর কক্ষে সংঙ্কৃয় ভাবে দরজা বন্ধু এবং খোলার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যা এক সঙ্গে পাঞ্চকার্ড এবং মোবাইল কল প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়।#