
নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী মহানগরির গুড়িপাড়ায় বাস্তাবায়িত রাজশাহী হাই-টেক পার্ক প্রজেক্ট এ স্থানীয়দের জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই পার্কের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের দাবী জানালে কোটি টাকার জমির বদলে একটি চাকরি দেয়ার প্রস্তাব করেছে প্রকল্প কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ক্লাবে স্থানীয় বসির উদ্দীন এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান ভুক্তভুগী বসির উদ্দীন। তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন,ডাক,তার ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের অধীনে রাজশাহী মহানগরির গুড়িপাড়ায় বাস্তাবায়িত হচ্ছে রাজশাহী হাই-টেক পার্ক প্রকল্প। ইতোমধ্যে প্রকল্পের তত্বাবধানে সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জমিতে হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। অধিগ্রহণকৃত জমির পাশেই আমিসহ আমার পিতা ও ভাইবোনদের মিলে ৪১ কাঠা ৪ ছটাক (৬৮.৫৬ শতাংশ) সম্পত্তি রয়েছে (যার খাজনা ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিশোধকৃত)। যার তফশীল জেলা-রাজশাহী, থানা-পবা, মৌজা-নবীনগর, জে.এল নং-৫০, আর.এস খতিয়ান নং- ২৪৬, ২৬২,১৭৪, আর,এস দাগ নং-৪০৭, ৪১৩, ৪১৫, ৪১৬। কিন্তু আমাদের উক্ত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়নি এবং জমি অধিগ্রহণের কোন নোটিশও প্রদান করা হয়নি। অথচ আমার তপশীল বর্ণিত সম্পত্তিটিও আইটি পার্কের জন্য লাল ফ্লাগ দিয়ে চিহ্নিত করে আমার জমিতে বালু ভরাটের কাজ শুরু করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, জমিতে আমাদের ৪৬টি আমগাছ আছে। উক্ত বাগান থেকে প্রতি বছরে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার অধিক আয় হয়। আমি জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে পার্ক প্রকল্পের কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে পার্ক প্রকল্পের জনৈক কর্মকর্তা সরকারি নিয়মানুযায়ি জমি অধিগ্রহণ না করে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জোর পূর্বক জমি দখল করে কাজ শুরু করে এবং বাগানের গাছ-পালা কেটে ফেলেছে। নিয়মানুযায়ি জমি অধিগ্রহণ না করে উক্ত জমির বদলে আমাকে সরাসরি একটি চাকরি দেয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি প্রস্তাবে রাজি না হলে কর্তৃপক্ষ পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জোর পূর্বক জমি দখল করে কাজ শুরু করে। এব্যাপারে বশির উদ্দীন পার্ক প্রকল্প কর্তৃপক্ষ এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রাজশাহী বরাবর গত (০৩/১২/২০১৭ ও ০৭/০৩/২০১৮) তারিখে সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করার জন্য ২টি আবেদন করেন। কিন্তু অধ্যাবধি জমি সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কোন জবাব পায়নি তিনি। এহেন অবস্থায় জমির মালিক জমির উপর কোন কাজ করতে পারছেনা এবং জমিটি যে অধিগ্রহণ করা হয়েছে এব্যাপারেও কোন কাগজপত্র ও অধিগ্রহনের অর্থও প্রদান করা হয়নি। ভুক্তভোগী বসির উদ্দীন একজন সার্ভেয়ার দিয়ে সরেজমিনে তাদেও জমি পরিমাপ করে তাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়া এবং বর্ণিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে তার পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে, বসির উদ্দীনের বড় ভাই, শামীম আহমেদ, ভগ্নিপতি আতাউর রহমান অন্যন্যেদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।