
নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও কালাই চাউল মাড়াইয়ে একমাত্র ভরসা ছিল যাতা। কালের আবর্তে হারিয়ে গিয়েছে সেই যাতা। কিন্তু উপজেলার কালনা গ্রামের রোকেয়া বেগমের যাতা এখনো চলমান। সেখানেই গ্রামের বুধদের সহজে মিলছে আটার চাহিদা। সম্প্রতি সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামটির ভিতরের রাস্তাগুলো পুরোটাই মাটির। গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় রোকেয়া বেগমের বসতঃ বাড়ি। বাড়ির দু’পাশে রয়েছে পুকুর। পাড়ার অধিকাংশ জনসাধারণ খেটে খাওয়া অবশ্য প্রায় সবাই সব রকম চাষাবাদ করে থাকেন। পাড়াটিতে ৩ দিক দিয়ে প্রবেশ করা যায়। সবদিকেই রয়েছে বিশাল বিশাল দিঘী। ওই গ্রামের সাঁওতালের বসবাস চোখে পড়ার মতো। অনেকেই কালাই চাষাবাদ করেন থাকেন। আবার এ শীতে বা ভাদ্র মাসে এবং দুই ঈদে অনেকে আসেন রোকেয়া বেগমের যাতাই কালাই চাউল মাড়তে বা স্থানীয় ভাষায় কুটতে। গত সোমবার ওই পাড়ার জহুরা বেগম তার ছেলে বউকে নিয়ে এক কেজির মতো কালাই চাউল মাড়তে নিয়ে আসেন। তারা যাতা ঘোরাতে খুব একটা পারদর্শী না। রোকেয়া বেগম বসার টুল নিয়ে যাতার দক্ষিণ পার্শ্বে বসে চমৎকার ভাবে যাতা ঘুরাতে শুরু করেন। তিনি জানান, এক কেজি কালাই মাড়তে বা কুটতে আমার সময় লাগে ১২ থেকে ১৪ মিনিট। অন্যেদের সময় লাগে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। এক কেজি চাউলে অন্যেদের সময় লাগে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট। আমার সময় লাগে ২০ থেকে ২২ মিনিট। জহুরা বেগম জানান, রোকেয়ার এ যাতাই আমাদের পাড়ার অনেক দরিদ্র জনসাধারণের একমাত্র ভরসা। এটা না থাকলে সামান্য পরিমাণ কালাই চাউল নিয়ে যেতে হতো তালন্দ বাজারে খরচও হতো অনেক। রোকেয়া বেগম কারো কাছ থেকে কোন রকম খরচ পাতি না নিয়ে নিজেই সহযোগিতা করেন কেউ তার যাতাই মাড়াই করতে আসলে। কোন সময় সে বিরক্ত হয় না।