নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলাজুড়ে নভেম্বর মাসে ১৯ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এবিষয়ে উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরমধ্যে ২ শিশু হত্যা,আত্মহত্যা নারী ১ জন,ধর্ষণ শিশু ১ জন,আত্মহত্যার চেষ্টা নারী ১ জন, নিখোঁজ নারী ১ জন, ধর্ষণ চেষ্টা নারী ১ জন,অপহরণ শিশু ৩ জন, নির্যাতন নারী ৩ জন,যৌন নির্যাতন শিশু ১,নারী ১ জন,অস্বাভাবিক মৃতু শিশু ২ জন ও নারী ১ জন। উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে,রাজশাহীর পুঠিয়ায় রাজবাড়ি ঘুরতে এসে এক কিশোরী যৌনহয়রানীর শিকার হয়, জেলা পবা উপজেলার দাদপুরে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, বাঘায় রাজু নামের ১৭ বছর বয়সী এক ভ্যান চালককে হত্যা, মোহনপুরের গোছা গ্রামের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, বাঘায় স্কুলে যাওয়ার সময় সুমাইয়া আক্তার (১৪) কে অপহৃত, তানোরের গন্ধসাইল গ্রামের আজিজুর রহমানের কন্যা পারিবারিক কলহের জের ধরে আখি (১৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, বাঘায় গাওপাড়া গ্রামের ১৭ বছর বয়সী নিপা আক্তার গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে, নগরীর শাহমখদুম থানা ওমরপুর এলাকায় শিশু আলিয়া (২) সৎ মা কর্তৃক অপহৃত, বাগমারার কাঠালবাড়ি গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র রিযাদ হোসেন অপহৃত হওয়ার অভিযোগ, বাগমারার ভবানীগঞ্জ বিশ^বিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী শারমিন আক্তার লতা (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে, পবার পূর্বপাড়া এলাকার আম্বিয়া বেগম (৪৮) নামের এক নারী নিখোঁজ, নগরীতে বিনোদপুর বাজার এলাকার এক মেসে ছাত্রীদের উত্ত্যাক্তের অভিযোগ। সর্বশেষ বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী শ্বশুর শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতনে গৃহবধু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে নির্যাতিত গৃহবধুর বাবা শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে (৩০ নভেম্বর)শুক্রবার বাঘা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।