রাজশাহী নগরীতে একটি রিয়েল ইস্টেট কোম্পানিকে বাজার মুল্যের চেয়ে কম মুল্যে পাথর সরবরাহর কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাবেদ ইকবাল (৩৫) নামের এক কুখ্যাত প্রতারককে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।
গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৮টার দিকে শালবাগান বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারক জাবেদ ইকবাল বোয়ালিয়া থানাধীন বিমান চত্বর ফিরোজায়াবাদ এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
এব্যাপারে শামস রিয়েল ইস্টেট কোম্পানির প্রোপাইটার মোঃ রুহুল আমীন (৪৪) বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন। জানতে চাইলেবোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ন কবির জানান, শামস রিয়েল ইস্টেট কোম্পানিকে এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে পাথর আমদানি করে এবং বাজার মুল্যের চেয়ে কম মুল্যে সরবরাহ করবে বলে একটি চুক্তির মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক জাবেদ।
তিনি আরও জানান, গত ৪ বছর আগে ওই প্রতারক ভুক্তভোগী রুহুল আমিনের ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নেয়।সেই সুবাদে তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্কগড়ে ওঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর মহানগরীর চেম্বার ভবনে অবস্থিত শামস রিয়েল ইস্টেট কোম্পানি লিমিটেড এর নিজস্ব অফিসে স্টাম্পের মাধ্যমে একটি লিখিত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এরই মধ্যে ৫ গাড়ি পাথর দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করে নেন প্রতারক জাবেদ।
পরে চুক্তিপত্র অনুযায়ী পর্যায় ক্রমে এক কোটি ২০ লাখ টাকা প্রদান করেন রুহুল আমিন। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর রাজশাহী থেকে পালিয়ে যায় প্রতারক জাবেদ।
এব্যাপারে রুহুল আমিন বলেন, প্রতারক জাবেদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেন। কখনও জাবেদ ইকবাল, কখনও আবু তাহের রনি কখনও বা মামুন। চার বছর পূর্বে নিজেকে পুলিশের একজন ডিআইজির ভাতিজা পরিচয় দিয়ে আমার বাসা ভাড়া নেন। এছাড়া পাথরের একজন বড় ইনপোর্টার বলে জানান। কিন্তু জানতামনা যে এত বড় প্রতারক আমার বাসায় বসবাস করে আমাকেই ফাঁদে ফেলবে! বর্তমানে তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আমি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, শুধু ব্যবসার ক্ষতি করেনি, আমার চার বছর বাসা ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ করেনি। তার ইউনিটটি আজও তালাবদ্ধ রয়েছে।
প্রতারনা মামলায় গ্রেফতার জাবেদকে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
Please follow and like us: