রাজশাহী মহানগরীতে যৌন হয়রানি ও অর্থ আদায়ের অভিযোগে ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মহানগরীর শাহমখদুম থানার দক্ষিণ নওদাপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো: মহানগরীর শাহমখদুম থানা এলাকার বাসিন্দা মোঃ শরিফুল ইসলাম (২১), মোঃ রাকিব হাসান (২৬), মোঃ মিনারুল ইসলাম (১৮), মোঃ শামিউল ইসলাম (১৮), মোঃ হৃদয় ইসলাম (২১) ও মোঃ খাইরুল ইসলাম (২২)।
বুধবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর), মোঃ জামিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, মোঃ শরিফুল ইসলাম মহানগরীর শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া আমচত্বরের ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র। মঙ্গলবার শরিফুল ও তার বান্ধবী রাজপাড়া থানার লক্ষীপুর এলাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে কাজ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রিক্সাযোগে আমচত্তরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথে তারা শাহমখদুম থানার দক্ষিণ নওদাপাড়া নেসকো বিদ্যুৎ অফিসের সামনে রিক্সা থেকে নেমে হাঁটতে থাকে। তারা দক্ষিণ নওদাপাড়া সিটি লেক পাড়ের কলাবাগানের সামনে পৌঁছালে বিদ্যুৎ চলে যায়। এসময় লেকের পাড়ে বসে থাকা আসামিরা শরিফুল ও তার বান্ধবীর পথরোধ করে বিভিন্ন অশ্লীল কথা বলতে থাকে। এছাড়াও তারা জোর করে শরিফুলের মানিব্যাগ থেকে ৭০০ টাকা বের করে নেয় এবং তাকে বিকাশ মাধ্যমে আরও ৫ হাজার টাকা দিতে বলে। আসামিরা শরিফুলের বান্ধবীর কাছ থেকেও টাকা দাবি করে এবং তার মাক্স টেনে হেঁচড়ে খুলে ফেলে এবং ভ্যানেটি ব্যাগ কেড়ে নেয়। ওই সময় তারা শরিফুলের বান্ধবীর হাত ধরে টানা হেঁচড়া করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করলে তারা চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে সিটি হাট মোড়ে ডিউটিরত টহল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই জন আসামি কৌশলে পালিয়ে যায়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।
বুধবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।