কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ রেখে বাড়ি নির্মাণের জন্য জায়গা ভরাট করায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রায় শত শত বিঘা ফসলে জমিসহ অর্ধশতাধিক ঘর বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। এ ঘটনা পানি নিষ্কাশনের পথ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার চাকিপশার ইউনিয়নের জোলাপাড়া গ্রামের বর্ষাকালের বৃষ্টির পানি নাজিমখান সড়কের একটি কালভার্ট বক্স ব্রীজ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতো। সম্প্রতি ওই এলাকায় বেশ কয়েকজন সড়কের পাশে কালভার্ট বক্স ব্রীজের মুখ বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করে। এতে সামান্য বৃষ্টিতে চাকিপশার তালুক ও জোলাপাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়িতে বৃষ্টির পানি জমে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ জলাবদ্ধতার কারণে ওই গ্রামের কৃষকদের আবাদ শাক-সবজি, কাকরল, মরিচ, ঢেঁড়শসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার শতাধিক চাষীসহ প্রায় ২ শত পরিবার। এলাকাবাসীরা সমস্যা নিরসনের জন্য রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি ও ইউএনও নূরে তাসনিমসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও এখন পর্যন্ত সুরাহা মিলেনি। ফলে বাড়ি নির্মাণের জায়গা ভরাট করার পর থেকেই চরম দুর্ভোগে দিন অতিবাহিত করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বাড়ি নির্মাণের জায়গা ভরাট করার মালিক বলেন, আমি বাড়ি নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করেছি। এতে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন বাড়ি নির্মাণের পাশাপাশি যাতে ওই এলাকার পানি নিষ্কাশন করা যায় এ জন্য যা করলে ভাল হয় আপনারা তাই করেন। অপরদিকে কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, কালভার্ট ব্রীজের মুখ বন্ধ করায় আমার প্রায় ৬ বিঘা সবজি ফসল জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ওই জমিতে লাগানো মরিচ, কাকরল, ঢ়েঁড়শসহ অন্যান্য ফসল পচে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী বাপ্পি বলেন, স্থানীয় লোকজন আমাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এ বিষয়টি দ্রæত উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের সুরাহা করা হবে। #(ছবি সংযুক্ত)