
রফিকুল ইসলাম সুজন ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
চারপাশে ছুটোছুটি। ছাএ-ছাএীদের উঁকি দিয়ে এমপিকে দেখা, এ যেন প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার ভিন্ন রকমের আবেদন। কাকন, পরেশ, আলম, সাবিনাদের বলতে শুনা গেছে সবার প্রিয় নেত্রী এমপি লিটা এসেছেন। এমপি মহদয় মিষ্টি হেঁসে সবার খোঁজ খবর নিলেন। ছাএ-ছাএীর উপস্থিতি কেমন? প্রয়োজনীয় শিক্ষক আছে কিনা? ইত্যাদি ইত্যাদি। দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন -সত্যিকার অর্থে আমরা ভাগ্যবান কারন মহান সংসদের একজন এমপি আমাদের বিদ্যালয়ে এসেছেন তাই আমরা আন্তরিক ভাবে আনন্দিত। তিনি হাজারো কাজের ফাঁকে আমাদের খোঁজ নিতে এসেছেন। তিনি প্রধান মন্ত্রীর খুব কাছের একজন মানুষ। তার প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা আর এটাই স্বাভাবিক। এই সময় ছাএ-ছাএীদের মাঝে এমপি পড়া লেখা ভাল করার বিষয়টি তুলে ধরে। এমপি নিজের পরিচয় দিতে গিয়েই সব ছাএ-ছাএীরা এক সাথে বলে ওঠে ‘আমরা সবাই এমপিকে চিনি ‘।এমপি সেলিনা জাহান লিটা উপস্থিত ছাএ-ছাএী ও অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরও খোঁজ নেন! বিদ্যালয়ে কী কী সমস্যা আছে? ঠিকমত ক্লাস হচ্ছে কিনা খোঁজ নেন। এসময় ছাএ-ছাএীরা বিদ্যালয়টির কম্পিউটার ল্যাব না থাকায় এমপিকে বললে, তিনি(এমপি) দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান। ইতিপূর্বে বিষয়টি জানালে হয়ত আরোও আগেই ব্যবস্থা করতে পারতেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন আমি তোমাদের মতই একজন স্টুডেন্ট ছিলাম। আল্লাহর রহমতে আজ মহান সংসদের একজন সদস্য হতে পেরেছি। তাই তোমাদেরকে বলবো বিশ্বাস, মনন ও নিজের প্রতি আস্থা থাকলে সফল হওয়া যায়। আমি মনে করি সাধারন মানুষ আমাদের সহযোগিতা করছে। তাই আমরা কাজ করতে পারছি। তোমরা সরকারী বিদ্যালয়ের ছাএ-ছাএী তোমাদের ভালভাবে পড়ালেখা করার পাশা পাশি বাবা মাকে সহযোগিতা করবে। সামনে রমজান মাস মেয়েরা বাড়িতে মায়ের সাথে কাজ করবে।” ২৭ মে শনিবার দুপুরে রানীশংকৈল উপজেলার আলিমুদ্দীন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন এ সময় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম বলেন এমপি লিটা আমাদের স্কুলে এসেছে আমরা আনন্দিত হয়েছি এবং তার মঙ্গলকামনা করি। এ সময় সিটিজেন আইটি লিঃ এর শিক্ষা ব্যবস্থাপনা সফটওয়ার উদ্ভোধন করেন। ঠাকুরগাঁওয়ের রাজপথের সর্বজন পরিচিত নেত্রী এমপি সেলিনা জাহান লিটা ছুটে বেড়াচ্ছেন সর্বত্রই। প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম তাঁর বিদ্যালয় সম্পর্কে বলেন সাড়ে ৪ শত জন ছাএ-ছাএী রয়েছে এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকার বিষয়টি এমপিকে অবগত করেছেন।
প্রসঙ্গত : রানীশংকৈলের সবচেয়ে পুরোনো বিদ্যাপিট হিসাবে নেকমরদ আলিমুদ্দীন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ৪ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে জাতীয়করন হয় এবং ১ জানুয়ারি ১৯৩৯ সালে স্থাপিত হয়েছে। চাহিদানুযায়ী বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক হলেই গুনগতমান আরোও বৃদ্ধিপাবে বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম।