রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ- নিষিদ্ধ ট্রলির ধাক্কায় রামগঞ্জ উপজেলার নাগমুদ বাজার কে.আই ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের তিন পরীক্ষার্থী ও সিএনজি চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। বুধবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে আশারকোটা দাখিল মাদ্রাসার চারজন পরীক্ষার্থী সিএনজি যোগে নাগমুদ বাজার কে.আই ফাজিল মাদ্রাসায় পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পথিমধ্যে টিওরী হাসান মোল্লা বাড়ির সামনে এলে মাঠ থেকেমাটি বোঝাই করে রাস্তায় উঠে আসা নম্বরবিহীন নিষিদ্ধ ট্রলি পরীক্ষার্থীদের বহনকারী সিএনজিকে ধাক্কা দিলে পরীক্ষার্থী আমেনা আক্তার, উম্মে সালমা আক্তার, রেদোয়ান হোসেন ও সিএনজি চালক রফিকুল ইসলাম আহত হয়। গুরুতর আহত আমেনা আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে রামগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু ইউসুফ এর হস্তক্ষেপে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করা হয়। সিএনজি চালক রফিকুল ইসলামকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকী পরীক্ষার্থীদের রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালের ডাঃ ইসমাইল হোসেন প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা নিচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহত পরীক্ষার্থী আমেনা আক্তারের হাত, পা ভেঙ্গে যাওয়াসহ চোখে গুরুতর আঘাত পায়।
এলাকাবাসী জানায়, যখন পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় তখনই একযোগে এ অবৈধ ট্রলিগুলি যেন সকল রাস্তা দখল করে নেয়। পরীক্ষার্থীরা এ ট্রলির কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে খুবই সমস্যা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর উপজেলার মাঝিরগাঁও সড়কের প্রভিটা পার্ক সংলগ্ন মোড়ে মোটরসাইকেলের পিছনে নাম্বার বিহিন নিষিদ্ধ একটি ট্রলি সজোরে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে আবদুর রহিম নামে মোটরসাইকেল চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান।