কোন প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ফসলি জমির টপ সয়েল কাটায় যেন মহোৎসব চলছে। টপ সয়েলের মাটি বহনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ দানবীয় ট্রলি।
এক শ্রেণির মাটি খেকো এসব মাটি চড়া দামে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
তাছাড়া ফসলি জমির এ টপ সয়েলের মাটিগুলো আশেপাশের ইটভাটা ও বিভিন্ন ডোবানালা ভরাট করে ঘর বাড়ি তৈরী করতে সরবরাহ করা হচ্ছে নম্বর ও রেজিষ্ট্রেশন বিহীন অবৈধ দানবীয় ট্রলি, হ্যান্ডট্রলি, পিকআপ ও ট্রাক দিয়ে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার ৩নং ভাদুর ইউনিয়নের কেথুড়ী এলাকায় কৃষি মাঠে চলছে টপ সয়েল কাটায় মহোৎসব। এভাবে একই ইউনিয়নের পূর্বভাদুর, রাজারামপুর ও সমেষপুর কৃষি মাঠে ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব ৷
এছাড়াও ২নং নোয়াগাঁও, ৫নং চন্ডিপুর, ৮নং করপাড়া, ৭নং দরবেশপুর, ৬নং লামচর ইউনিয়নসহ সমগ্র উপজেলাব্যাপি একই চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। ফসলি জমিগুলোর টপ সয়েল কাটার ফলে সেখানে দেখা দিয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত। কোথাও কোথাও পুকুরে পরিনত হয়েছে। নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি থেকে মাটি কাটার ফলে জমিগুলো যেমন উর্বরতা হারাচ্ছে। তেমনিভাবে চাষাবাদের অনুপযোগী হচ্ছে এসব কৃষি জমি।
ট্রলি দিয়ে মাটি আনা নেয়া করায় প্রধান সড়কে চলাচলরত মানুষের জীবন দূর্বিসহ করে তুললেও দেখার কেউ নেই। প্রচুর ধুলোবালির কারনে ওই সকল এলাকার সড়কে চলাচলরত মানুষ আসা যাওয়া করতে চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছেন বলে সরেজমিনে দেখা যায়।
মাটিখেকোরা রাজনৈতিক প্রভাবশালী হওয়ায় মানছে না সরকারি বিধি নিষেধ। অভিযানের পর সাময়িক বন্ধ হলেও ফের চালু হয় টপ সয়েল কাটা। এ অবস্থায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এ ব্যাপারে ভাদুর ইউপি চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন জানান, চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই তার এলাকায় এধরণের কর্মকান্ড বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন তিনি ঢাকায় আছেন। ঢাকা থেকে এসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: সারমিন ইসলাম জানান, এধরণের বেআইনি কর্মকান্ড বন্ধ করা অতীব জরুরি। খবর নিয়ে এব্যাপারে অতি দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এছাড়াও এব্যাপারে অতি সত্ত্বর যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভূক্তভোগীরা।