এম এ মালেক (রায়গঞ্জ)সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বেঙনাই উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবার জন্য ব্রীজ থাকলে ও রাস্তা না থাকার ফলে শিক্ষার্থীদের জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বেঙ্গনাই ব্রীজ ছাড়া ও ব্রম্মগাছা ইউনিয়নের দৈবুজ্ঞগাতী, ধর্মদাসগাতী ও ধানগড়া ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের ব্রীজের দু পাশে এ্যাপ্রোচের মাটি না থাকাই একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা গুলোর নেই কোন বিকল্প সংযোগ। ব্রীজ থাকার পর ও কাপড় চোপড় ভিজে স্কুলে যেতে হয় শিক্ষাথীদের।
এ যেন কষ্টের সীমা নেই ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে খালের মধ্যে নির্মান করা হয়েছিল একটি ব্রীজ। কিন্তু এর উভয় পাশে রাস্তা না থাকায় শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতে সীমাহিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
খালটি বৃষ্টি মৌসুমে পানিতে ভরে গেলে স্কুলে
যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যায় বলে স্থানীয়রা জানান। উভয় পাশে কোন মাটি না থাকায় স্বভাবতই যে কারও মনে হবে ব্রীজটি পানিতে ভাসছে।
সাঁতার না জানা শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাতে চাননা অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আকবর হোসেন বলেন, রাস্তা না থাকায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক সহ শিক্ষকদের খুবই কষ্ট হয়। শিশু শিক্ষার্থীদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর আশংকাও উড়িয়ে দেয়া যায়না বলে আমাদের সেদিকেও মনযোগ রাখতে হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুর রহিম মাষ্টার বলেন, আঞ্চলিক পাকা সড়ক থেকে বিদ্যালয় মাত্র ১০০ গজ দূরে অবস্থিত হলেও একটি বড় খাল পার হতে হয়।
বৃষ্টির মৌসুমে ঐ খাল পানিতে ভরে গেলে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার ঘুরে পাড়ার বিভিন্ন বসতবাড়ির ভিতর দিয়ে স্কুলে যেতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
আর এ কষ্ট লাঘবের জন্য নির্মান করা হয় ব্রীজটি। কয়েক বছর আগে জনকল্যানে ব্রীজটি
সরকারী অর্থায়নে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হলেও কোন কাজেই আসছেনা। পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মোক্তার হোসেন, লুৎফর রহমান ও আস্তাহার আলী বলেন, যাতায়াতে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী সহ সবার
খুবই অসহনীয় কষ্ট করতে হয়।
সরকারী উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষেত্রে গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নতিতে যখন বিপ্লব ঘটছে
বিশেষ করে শিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা
দূরীকরণের কথা বলা হচ্ছে তখন আমাদের এ রকম অপ্রত্যাশিত প্রতিকূল পরিবেশ কারও কাম্য নয় বলে ভুক্তভোগীরা বলেন।
৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, কাপড় চোপড় ভিজে বই বাঁচিয়ে খাল পার হয়ে স্কুলে যেতে হয় আমাদের । আবার যখন পানিতে খাল ভরে যায় তখন অনেক পথ ঘুরে যেতে হয়।
৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র নাহিদ, ৩য় শ্রেণীর ছাত্র ইলিয়াস, ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী হেনা খাতুন, ছাত্র তোফায়েল আহমেদ সহ সকল শিক্ষার্থী তাদের কষ্টের কথা বলেন।
এ ব্যাপারে পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, ঐ ব্রীজটি নির্মানের সময়
মাটি ফেলে রাস্তা করার জন্য শ্রমিক মজুরির জন্য বরাদ্দ থাকলেও বাইরে থেকে মাটি ক্রয় করার জন্য অর্থ বরাদ্দ ছিলনা। আশেপাশের জমির মালিকগণ জমি থেকে মাটি দিতেও রাজি হননি। যে কারণে স্কুলে যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকতারুজ্জামান বলেন, রাস্তার বিষয়টি আমাদের না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্যোগে সংযোগ রাস্তাটি দ্রুত নির্মিত হলে কষ্ট লাঘব হবে।
Please follow and like us: