নয়া আলো-
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হতে চুরি যাওয়া ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা বর্তমানে তদন্তাধীন।
তিনি বলেন, এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সে দেশী কিংবা বিদেশী যেই হোক না কেন, সম্ভাব্য সব আইনের আওতায় তাকে আনা হবে। এ ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর।
সোমবার জাতীয় সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত দেয়ার প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ফিলিপাইন সিনেটের ব্লু-রিবন কমিটি দেশটির অর্থপাচার বিরোধী সংস্থা- এএমএলসিকে নির্দেশনা দিয়েছে।
তিনি জানান, এরই মধ্যে চুরিকৃত অর্থের মধ্যে শ্রীলংকায় পাঠানো অর্থের পুরোটাই (১৯ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক, নিউইয়র্কে জমা হয়েছে।
মুহিত বলেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান গত ১৫ মার্চ পদত্যাগ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন ডেপুটি গভর্নরকে তাদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির অবসায়নক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
একেএম শাহজাহান কামালের এ সংক্রান্ত আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ঘটনার স্পর্শকাতরতা এবং আন্তর্জাতিকতা বিবেচনা করে কমিটির প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিজ্ঞ একটি ফরেনসিক টিমকে নিয়োজিত করে এবং ওই টিমের তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তা বিশ্লেষণ করে এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিএম জালিয়াতির সঙ্গে দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের তিনজন কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্তৃক একটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে।