
রাসেল মাহমুদ, (যশোর) রূপদিয়া ॥
এবার ভৈরব নদীর খননকৃত মাটি চুরির হিড়িক। কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ট্রাক-ট্রাক মাটি নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবৃদ্ধ। এলাকাবাসীর ক্ষোভ। এ যেন জন্ম থেকে জলা, এক সময়ের প্রানচঞ্চলা ভৈরব নদীর বুক জুড়ে দাপিয়ে বেড়াতো লঞ্চ, স্টিমার ছোট-বড় পাল তোলা ডিঙ্গি নৌকার মত হরেক রকম জলযান। তখন থেকে এই নদীটিকে গিলে খেতে সক্রিয় ছিলো কোন না কোনো চক্র। কালের বিবর্তনে সেই নদীটি পানি সুখিয়ে বিস্তির্ন ভূমিতে পরিণত হলেও থেমে নেই কুচক্রিদের খাই-খাই। পুরো নদীটি আজ দখল দারিত্বের দাপটে নি:চ্ছিন্ন প্রায়। কিন্তু সম্পতি বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই নদী খে-গো চক্রের জন্য দ্বু:সংবাদ দিয়ে দখল দারিত্বের হাত থেকে এই ভৈরব নদী উদ্ধার করে পূণরায় প্রানসঞ্চালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই মহতী উদ্যোগের ফলস্ফ্রুতি হিসাবে যশোর সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে চলা ভৈরব নদীর খনন কাজ শুরুও হয়েছে। তার আগে সকল দখল দারদের নিজ উদ্যোগে নদীর পাড় বিভিন্ন পন্থায় দখলে রাখা নদীর জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিলো। সেই ঘোষণার পর দখলদারীরা নদী থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করা শুরু করে। কিন্তু স্থানীদের অভিযোগে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পিছু হঠতে বধ্য হয় চক্রের সদস্যরা। সম্প্রতি নদীর খননকৃত মাটি প্রকাশ্য দিবালোকে (এস্কোমিটার) মাটি কাটা আধুনিক যন্ত্র দ্বারা ট্রাক্টরের ট্রলি যোগে বোঝায় করে নিয়ে যাচ্ছে চক্রের সদস্যরা। এবিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, যশোর সদর উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের পাঠবাড়ি নামক স্থান থেকে নদী খননের পাড় বাঁধা মাটি ট্রলি জোগে নিয়ে যাচ্ছে অন্যত্রে। এনিয়ে ট্রলির ড্রাইভারদের কাছে জান্তে চাইলে তারা বলেন- পেটের দায়ে আমরা ভাড়া খাটি মাত্র, রাজারহাটের ফিরোজ ভাই আমাদেরকে এখানে আসতে বলেছে তাইা আমরা এসেছি। আমাদের আর কি দোষ। এব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জিএম সবুজ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম বলেন নদীর মাটি চুরির বিষয়ে জান্তে পেরে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাৎক্ষনিক মাটি নেওয়া বন্ধ করে দেই। কিন্তু গতকাল শনিবার থেকে আবারো কোন অদৃশ্য শক্তির বলে নদীর পাড় বাঁধা মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। স্থানীয়রা দ্রুত মাটি চুরির ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।