মেহেদী হাসানঃ- প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল ও সন্ধ্যায় ঠান্ডার তীব্রতা এতই বেশী যে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমলেও সন্ধ্যার পর থেকে আবারও শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মন্দাভাব। অন্যদিকে এই ঠান্ডায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। ঘন কুয়াশায় ও ঠান্ডার কারণে ইরি ধারেন বীজতলা হলুদ হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতির আশষ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষিবিদরা বলেন, জীপসাম, ইউরিয়া সার ও ছত্রাক নাশক ব্যবহার করলে বীজতলা ঠিক হয়ে যাবে। ঠান্ডা ও কুয়াশা কমে গেলেও বীজতলার কোন ক্ষতি হবে না বলে কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
কয়েকদিন শীতের তীব্রতার সাথে যোগ হয়েছে মারাত্মক ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় সকাল থেকে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। গাড়ীর হেড লাইট জ্বালিয়ে ঝুকির মধ্যে যানবাহন চলাচল করছে। সকাল থেকে রৌদ্রের দেখাতো মিলছে না। তারপরও যা মিলছে তার উত্তাপও খুব কম।
শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ খড়-কুটোয় অগুন ধরিয়ে শীত নিবারন করার চেষ্টা করছে। কর্মজীবী মানুষ শীতের তীব্রতায় অনেক দেরী করে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। কাজ করতেও পারছেন না বলে জানিয়েছেন অনেকে। এদিকে শীতের তীব্রতার করণে সব বাজারের দোকানপাট অনেক দেরী করে খুলছে এবং সন্ধ্যার পরপরই বাজারের লোকজন ঘরে ফিরে যাওয়ার করণে বেশীরভাগ দোকান খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মানুষজন শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য গরম কাপড় কেনার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন দোকানে। দোকানপাট ঘুরে দেখছেন কোথায় পাওয়া যায় মোটা কাপড় চোপড়।
অপরদিকে শীতের তীব্রতায় শিশুসহ অনেকেই ঠান্ডা জনিত নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।যে সমস্ত রোগী আসছে তারমধ্যে ৯০ শতাংশ রোগীই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। বিভিন্ন ক্লিনিক ঘুরে দেখা গেছে যে রোগী ভর্তি আছে তার অধিকায়ংশই ঠান্ডা জনিত কারণে ভর্তি আছেন। ডাক্তারা শীতজনিত রোগের হাত থেকে রক্ষার পাওয়ার জন্য শিশুদের গরম কাপড় পরিধানের পাশাপাশি উষ্ণ গরম পানি খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এক কথায় শীতের তীব্রতায় জনজীবন একেবারেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।