
এহসান রায়হান- ১০০ মিটারে জাল ফেলে ঘন্টায় ৫০টির বেশি ইলিশ ধরতে পারলেই জায়গাটা ইলিশ সাম্রাজ্য। তাদের বাঁচাতে এলাকাটা হয়ে ওঠে অভয়াশ্রম। বর্তমানে বাংলাদেশের জলসীমায় ইলিশের পাঁচটি অভয়াশ্রম রয়েছে। চাঁদপুর, বরিশাল শরিয়তপুর জেলায় মেঘনা যেন ইলিশের দেশ। ভোলার রামদাসপুর, ভাষাণচর ইলিশের স্বপ্নপুরী। চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার হয়ে, মেঘনার নিম্ন অববাহিকার ১০০ বর্গকিলোমিটার, ভোলার চর ইলিশা থেকে চর পিয়ালো, মেঘনার শাহবাজপুর শাখার ৯০ কিলোমিটার, ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তমের তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ বর্গ কিলোমিটার, পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদীর ৪০ বর্গকিলোমিটার, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মার নিম্ন অববাহিকার ২০ কিলোমিটারে রয়েছে ইলিশের অভয়াশ্রম। এই পাঁচটি অভয়াশ্রমের পর আরও একটি অভয়াশ্রম হবে। ছ’নম্বরটি হবে বরিশালের হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় মেঘনার ৭০ কিলোমিটার এলাকায়। হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর, আবুপুর, চর মেমানিয়া, গৌরবদীর পাশে মেঘনায় সারা বছর ইলিশের বাস। এতে ইলিশের নিরাপত্তা বলয় আরও বাড়বে। ছিল ৩৫০ বর্গকিলোমিটার। আরও ৭০ বর্গকিলোমিটার বেড়ে হবে ৪২০ বর্গকিলোমিটার। বড় ইলিশ পেতে দরকার মাত্র দুমাসের ধৈর্য ও সংযম। ৬০টা দিন মৎস্যজীবীরা ইলিশ মুখো না হলেই যথেষ্ট। ইলিশ বাড়ে তাড়াতাড়ি। এই সময়টুকু পেলেই তারা জাটকা থেকে সাবালক হয়ে উঠবে। নদী-সাগর এক করে যৌবন তরঙ্গে ভাসবে। জালে পড়লে দেখেই মন ভরবে। রান্নার পর পাতে পড়লে তো কথাই নেই। এ বিষয়ে সরকার ও জনগণ সর্বাত্মকভাবে পরস্পরের সহযোগী হওয়া দরকার নয় কি?