ইসলাম ডেস্ক : আল্লাহকে সন্তুষ্টি করতে বান্দা রোজা রাখে এবং আল্লাহ বান্দাদের এ ইবাদতের ইচ্ছামাফিক প্রতিফল দেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তানদের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
রোজাদাররা আল্লাহর কাছে আখিরাতেও সম্মানিত বলে বিবেচিত হবে। কিয়ামতের দিন বেহেস্তে প্রবেশের সময় তারা বিশেষ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। হজরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বেহেস্তের একটি দরজা আছে তাকে রাইয়ান বলা হয়, এ দ্বার দিয়ে কিয়ামতের দিন একমাত্র রোজাদার লোকেরাই বেহেস্তে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ এ পথে প্রবেশ করবে না।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং তদনুযায়ী আমল পরিত্যাগ করতে পারল না, তবে এমন ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করার আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজা)।
উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে দিনের বেলায় শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকাই রোজা নয়। রোজাদারদের মিথ্যা কথাসহ সব ধরনের পাপ থেকে বিরত থাকতে হবে।