ধর্ম ও জীবন ডেস্ক- রোজা রাখতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কখনো কখনো রোজাদার বান্দা ক্ষুৎপিপাসায় কাতর হয়ে পড়ে। সব রকম খাদ্য ও পানীয় গ্রহণের সুযোগ ও সাধ্য থাকা সত্ত্বেও শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এই কষ্টকে সে তুচ্ছ মনে করে। এ কারণে তাকে এমন পুরস্কারে ভূষিত করা হবে, যা হবে তার ক্ষুৎপিপাসার যথার্থ বিনিময়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘রমজান মাসে আমার উম্মতকে পাঁচটি বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা আমার আগের কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি।
রমজানের প্রথম রাতে আল্লাহ তাদের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন, আর আল্লাহ যার দিকে দৃষ্টি দেন, তাকে কখনো শাস্তি দেন না।
সন্ধ্যার সময় তাদের মুখ থেকে যে গন্ধ বের হয়, তা আল্লাহর কাছে মেশকের সুগন্ধির চেয়েও উত্তম।
প্রত্যেক দিনে ও রাতে ফেরেশতারা রোজাদারদের জন্য দোয়া করেন।
আল্লাহ তাঁর বেহেশতকে বলেন, ‘তুমি আমার বান্দার জন্য সুসজ্জিত ও প্রস্তুত হও! আমার বান্দারা খুব শিগগিই দুনিয়ার দুঃখ-কষ্ট থেকে অব্যাহতি পেয়ে আমার বাড়িতে ও আমার সম্মানজনক আশ্রয়ে এসে বিশ্রাম নেবে।’
রমজানের শেষ রাতে আল্লাহ তাদের সব গুনাহ মাফ করে দেন।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘এটা কি লাইলাতুল কদর?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘না, তুমি দেখোনি শ্রমিকরা যখন কাজ শেষ করে, তখনই পারিশ্রমিক পায়?’ (বায়হাকি) এসব ফজিলত ও বরকত লাভ করতে হলে রোজা রাখতে হবে একমাত্র আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য ও তারই সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে।
পানাহার ও জৈবিক চাহিদা বর্জন, গীবত ও পরনিন্দা পরিহার, ঝগড়া-বিবাদ ও যাবতীয় অশ্লীলতা ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে ইবাদত, তিলাওয়াত, জিকির ও তাসবিহ-তাহলিল এবং সালাত ও সালামে নিমগ্ন থেকে সমবেদনা, সহানুভূতি, সদয় আচরণ ও দানশীলতার মাধ্যমে সিয়ামের প্রভাবকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। তাহলেই রোজা দার লাভ করবে আল্লাহ ঘোষিত এই অফুরন্ত প্রতিদান। আল্লাহ আমাদের অবশিষ্ট রোজাগুলো তাঁর সন্তুষ্টির নিয়তে পালন করে তাঁর বিশেষ নিয়ামতে ধন্য করুন। আমিন!!