ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে, ঘর ধসে এবং সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে অন্তত ২৪ জনের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো তদারকি চলছে। এমনটিই জানিয়েছেন ত্রাণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা।
ওই কর্মকর্তা বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে এক লাখ ১০ হাজারের বেশি পরিবার আংশিক এবং ২৯ হাজারেরও বেশি পরিবার পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে তদারকি চলছে বলে তিনি জানান।
তবে অনেকে বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অনেকে ফিরে গেছেন। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকে এখনো তাদের ফিরে যেতে বলা হয়নি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে উপকূলীয় সাত জেলায় প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় গাছ ভেঙে, ঘর ধসে এবং সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীতে ৩ জন, বাশঁখালীতে জলোচ্ছ্বাসে শিশুসহ ৭ জন ও সীতাকুণ্ডে মা-ছেলে মারা গেছেন। এছাড়া, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ৩ জন, ভোলায় গাছ ও ঘর চাপা পড়ে ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে গাছ চাপায় ১ জন, নোয়াখালীর হাতিয়ায় জোয়ারে ভেসে মা-মেয়েসহ ৩ জন এবং পটুয়াখালীতে ঘর ভেঙে ১ জন এবং ফেনীতে এক রাখালের মৃত্যু হয়েছে।
এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক লোক।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকূল অতিক্রম করার আগেই উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।