
মনির হোসেন রবিন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
রমজানে প্রখর রোদ আর খরতাপে অতিষ্ঠ লক্ষ্মীপুরের জনজীবন। অসহনীয় হাঁফিয়ে উঠার সময় তৃষ্ণা মেটাতে বিকল্প নেই জেন ডাবের পানির। তাই কদরও বেড়েছে যথেষ্ঠ। বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন অলি-গলি ও হাটবাজারে। এসব ডাব জেলার চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে রাজধানী ঢাকসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। উৎপাদিত ডাব বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। প্রখর রোদ। অসহনীয় গরম। খরতাপে হাঁফিয়ে উঠছে সবাই। ক্লান্তি যেন চেপে বসেছে। পিপাসা মেটাতে ডাবের পানির বিকল্প নেই। এই গরমে ডাবের পানিতেই যেন প্রাণ জুড়ায় সকলের। তাইতো লক্ষ্মীপুরের প্রত্যান্ত অঞ্চলে ডাবের এতো কদর। সড়ক-মহাসড়ক কিংবা হাট-বাজারে চলার পথে একটু পর পর দেখা মিলবে ডাবের। রাস্তার পাশে কেউ বা আবার ফেরি করে ভ্যান চালিয়ে অলিতে-গলিতে বিক্রি করছে এসব ডাব। এছাড়াও শহরের আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকানের দেখা মেলে সবসময়।
রোদের খরাতাপের কারণে চাহিদাও রয়েছে বেশ। ডাবওয়ালা কচি ডাব কাটছেন আর পাশে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন পথচারীরা। লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় এলাকার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ডাব কিনে তা শহরে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি পিস ডাব ১২ থেকে ১৪ টাকা ধরে কিনে তা শহরে বিক্রি করেন জাতবেধে ২৫ থেকে ৪০ টাকা। এক একজন বিক্রেতা প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ ডাব বিক্রি করে থাকেন। এতে করে লাভবান হচ্ছে এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ভালো লাভ হওয়ায় অন্য পেশা ছেড়ে প্রতিদিন ডাবের ব্যবসায় যোগ দিচ্ছেন অনেকে। এসব ডাব লক্ষ্মীপুরের দালালবাজার, হামছাদী, টুমচর, কালীচর , রায়পুর সহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ থেকে সস্তায় কিনে খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করা হয়। লক্ষ্মীপুরের চাহিদা মিটিয়ে এসব ডাব ট্রাক বোঝাই করে রপ্তানি করা হয় ঢাকা-চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, লক্ষ্মীপুরে উৎপাদিত নারিকেল অর্ধেক বিক্রি হয় ডাব হিসেবে। এ বছর লক্ষ্মীপুরে ২ হাজার ৭ শ ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে নারিকেল বাগান রয়েছে। বছরে প্রায় ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ নারিকেল উৎপাদন হয়। যার অর্ধেক ডাব হিসেবে বিক্রি করে কৃষকরা। ৩ কোটি ডাবের বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকারও বেশি। ডাবের পানি নিরাপদ ও শরীরের জন্য উপকারী। এটি ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করার পাশাপাশি পানি শূন্যতা পূরণ, শরীর ও মনকে সুস্থ এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়ামও রয়েছে। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।