মোঃ জিল্লুর রহমান লাকসাম :
লাকসাম-নোয়াখালী রেললাইনে দু’জোড়া
ডেমু ট্রেন চলাচল করে। ১০টি ষ্টেশনের মধ্যে ৬টির ষ্টেশন মাষ্টার ও বুকিং
ক্লার্ক নেই। যাত্রী সাধারন ষ্টেশন থেকে টিকেট না পেয়ে বাধ্য হয়ে বিনা টিকেটে ট্রেনে উঠছে।
এতে ট্রেনে কতর্ব্যরত টিটিদের অবাধ বানিজ্য চলছে। ফলে সরকার বছরে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
রেল সূত্রে জানা যায়, লাকসাম জংশন থেকে ছেড়ে আসা ডেমু ট্রেন সকাল ১০টা দৌলতগঞ্জ ষ্টেশনে পৌঁছে। ওই ষ্টেশনে দীর্ঘদিন থেকে ষ্টেশন মাষ্টার ও বুকিং ক্লার্ক নেই। টিকেট দিচ্ছেন ফয়েছম্যান।
দৌলতগঞ্জ থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত
কমিউটার ট্রেন টিকেট যার নাম্বার ০৮৩৫
টিকেটের গায়ের মূল্য ৩০ টাকা। নিচ্ছে ৩৫ টাকা। লাকসাম থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত
৩০ কিঃ মিঃ রেলপথ। ষ্টেশনের সংখ্যা ১০টি। শুধূমাত্র খিলা ষ্টেশনে টিকেট দেয়া হয় না। ট্রেনে যাত্রীরা ভরপুর।
টিকেট ছাড়া যাত্রীরা রয়েছে। বুঝা
মুশকিল কারা টিকেট কাটছে আর কাদের টিকেট নেই। দ্রুত গতিতে ট্রেন চলছে। ৪টি
বগি সামনে ইঞ্জিন ও পিছনে ইঞ্জিন।
একজন ড্রাইভার , একজন গার্ড ও একজন টিটি। গার্ডের জন্য আলাদা কোন রুম নেই। চালকের সাথে একটি চেয়ারে বসে গার্ড কাজ কর্ম করে থাকেন। ইঞ্জিনের একপাশে অগ্নিনির্বাহ ৩টি ছোট সাইজের বোতল।
প্রতিটি বগিতে দুইপাশে ঢেলনি চেয়ার লম্বালম্বি ভাবে বসানো।
৬টি ঢেলনি আসন। প্রতিটি বগিতে লেখা রয়েছে
১’শ২০জন আসন। কিন্তু এর চেয়ে দ্বিগুন লোক
বসে রয়েছে। প্রতিটি বগিতে ১২টি ফ্যান,
কোন টয়লেট নেই। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে
রয়েছে চাপা ক্ষোভ। বর্তমান সরকার
ট্রেনগুলো আমদানী করছে চীন থেকে। দেশের বিভিন্ন
লাইনে ট্রেনগুলো চলছে। ট্রেন ভ্রমনে
স্বাচ্ছন্দ, বাস ভাড়ার তুলনায় একদম কম।
লাকসাম থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত বাস
ভাড়া ৮০ টাকা। সে অনুযায়ী ডেমু ট্রেনের
ভাড়া মাত্র ২০ টাকা। এছাড়া কয়েকজন
মহিলা যাত্রী অভিযোগ করে বলেন
ট্রেনের বগিতে উঠানামার জন্য যে সিড়ি
রয়েছে, তাতে বিশেষ করে মহিলা
যাত্রীরা উঠা ও নামাতে বিশেষ অসুবিধা
হয়। কারো সাহায্য ছাড়া ট্রেনে উঠানামা
করা যায় না।
ট্রেন দ্রুতগতিতে চলছে দুটি ষ্টেশন
অতিক্রম করার পর পর টিকেট চেকার টিকেট
চেক করছে, সাথে রয়েছে একজন রেলওয়ে
পুলিশ। যাদের টিকেট নেই তাদের কাছ
থেকে ১৫ টাকা করে নিচ্ছে। এভাবে
কিছুক্ষন পর পর টিকেট চেক করছে আর টাকা
নিচ্ছে। এ যেন টিটিদের অবাধ বানিজ্য।
মাঝে মধ্যে জরিমানাসহ কাগজে টিকেট
দিচ্ছে।