
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
সিম কোম্পানীর রবি ব্যবহারের কারণে বোনাসে গাড়ি বা নগদ পুরস্কারের লোভনীয় অফার বলে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। এদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের কারণে লাখ লাখ টাকা হারাচ্ছে প্রবাসীর স্ত্রী, লোভী ব্যক্তি ও নিরীহ মানুষ। প্রতারণায় সফল বা ব্যর্থ হলেই নাম্বারটি বন্ধ রাখে প্রতারক চক্র। এমনই প্রতারণার চেষ্টা চালিয়ে গতকাল সোমবার ব্যর্থ হয়েছে একটি চক্র।
জানা গেছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ ‘সাপ্তাহিক চৌদ্দগ্রাম’ পত্রিকা অফিসের কর্মচারী মোঃ মাসুমের ব্যবহৃত মোবাইলে প্রতারক চক্র ০১৮৫৬৭৬৯১৪৭ বিকাশ নাম্বার থেকে সোমবার দুপুর ১১.৩৯ মিনিটে কল করে। রিসিভ করার সাথে সাথে বলা হয়-আপনি রবি কোম্পানী থেকে ব্যবহারের উপর বোনাস পেয়েছেন। বোনাস হিসেবে আপনি গাড়ি বা নগদ টাকা নিতে পারেন। কথা চলাকালীন সময়ে মাসুম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ এমদাদ উল্যাহকে মোবাইলটি দেয় কথা বলার জন্য। ওই প্রান্ত থেকে জিজ্ঞেস করে আপনি কে? তখন এমদাদ উল্যাহ পরিচয় দিলো মাসুমের বড় ভাই। কলটি কেটে দিল প্রতারক চক্র। ১১.৪১ মিনিটে অন্য নাম্বার দিয়ে কল করলে রিসিভ করেই বলে আগের নাম্বার দিয়ে কল দিতে। ১১.৮২ মিনিটে আবার মাসুমের নাম্বার দিয়ে কল দিলেই এমদাদ উল্যাহর পরিচয় জানতে চায় প্রতারক চক্র। বলা হয়-মাসুমের বড় ভাই, পেশা জিজ্ঞেস করলে বলা হয়-বেকার। প্রতারক চক্র বলে-আপনার ভাই রবি কোম্পানী থেকে বোনাস পেয়েছে। বোনাস ব্যক্তিগত একাউন্টে বা সরাসরি নিতে পারবেন। তবে সরাসরি নিতে হলে দশজন লোকের সামনে নিতে হবে। দশজনের মধ্যে দুইজন্য র্যাব ও দুইজন সাংবাদিক থাকবে। এমন কথায় রাজি হলেন এমদাদ উল্যাহ। এরপর প্রতারক চক্র বলে নাম ও নাম্বারটি সিরিয়ালে রাখতে বিকাশ নাম্বারে ৫১০ টাকা পাঠাতে হবে। উল্টো প্রতারক চক্রকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে সে কল কেটে দেয়। পরে কয়েকবার কল দিলেও আর রিসিভ করেনি। এভাবে লোভনীয় অফারে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের হাটবাইর, নোয়াগ্রাম, গুণবতী ইউনিয়নের রামপুর, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা গ্রামের কয়েকজন প্রবাসীর স্ত্রী ও লোভী ব্যক্তি বিকাশে টাকা পাঠিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সারাদেশে এমন ঘটনা অব্যাহত থাকলেও এর প্রতিকার মিলছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন-আগে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। লোভনীয় অফারে রাজি না হলেই প্রতারকরা বারবার ব্যর্থ হবে।