ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-কে সামনে রেখে উপকূলীয় এলাকার শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৫ মে) মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিকেলে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল (বুধবার) দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সরকারের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা সংক্রমণের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃত্যু শূন্যের কোঠায় রাখতে শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় পাঁচ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র ব্যবহার করা হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রণালয় জানায়, আম্ফানের সময় করোনার কারণে ১৪ হাজার ৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষকে রাখা হয়েছিল। অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারও তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, কোভিডের কারণে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবহার, সবার জন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিশ্চিত করা হয়েছে। ফণী, বুলবুল, আম্ফান মোকাবিলায় অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা হবে এবং শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে এসে মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় আনার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কোভিড রোগী থাকলে তাকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আক্রান্ত কেউ যেন সুস্থ মানুষের মধ্যে না আসতে পারে, সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনোভাবেই যেন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নতুন করে সংক্রমণের সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়টি নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।