রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
রামগঞ্জ পৌরসভার নন্দনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিগত সময়ে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ও অবকাঠামোগতভাবে পিছিয়ে থাকলেও বর্তমান প্রধান শিক্ষক অঞ্জন প্রধান শিক্ষক হিসাবে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম অত্র বিদ্যালয়ের ক্লাস্টারের দায়িত্ব গ্রহনের পর পর শতভাগ ফলাফলসহ বিদ্যালয়ের চেহারাই পুরো পাল্টে গেছে বলে জানালেন বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন এলাকাবাসী।
ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৫ ইং সনে ২৯জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৮জন এ প্লাস, ১জন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিসহ ৬ শিক্ষার্থীর বৃত্তি লাভ। ২০১৬ইং সনে ৩৮জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৭জন এ প্লাস, ১জন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভসহ ৫জন শিক্ষার্থীর বৃত্তি লাভ। ২০১৭ইং সনের পাক প্রাথমিক শ্রেনীর বৃত্তি পরিক্ষায় ৩৬জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে। তার মধ্যে ২২জন শিক্ষার্থী এ প্লাসসহ পাশের হার শতভাগ।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, চেষ্টা করলে যে শতভাগ সফল হওয়া যায় তার প্রমান নন্দনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইর্ষনিয় ফলাফলসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার রায় জানান, আমার একার দ্বারা ফলাফল ভালো করা সম্ভব ছিলো না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা ও অভিভাবকদের সচেতনতাই আজ শতভাগ সফলতার দ্বার খুলে দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্খি শেখ কামরুজ্জামান, গোলাম রব্বানী দুলাল, বাচ্চু মিয়াসহ অনেকই জানান, নেতিবাচক ফলাফলের কারনে আমরা বিগত সময়ে ছিলাম অত্যন্ত বিভ্রত। আজ শতভাগ সফলতার কারনে আমাদের মুখ উজ্জল করেছে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ফলাফলের কৃতিত্ব অবশ্যই শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর চেষ্টা করছি ফলাফল উন্নতিসহ অবকাঠামো উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে। ইতোমধ্যে স্কুলের বাউন্ডারী ওয়াল, গেইট নির্মান, ক্লাশরুমে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদানের জন্য জোর প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।