নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমানকে মিথ্যা অজুহাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত বিশিষ্ট সাংবাদিক শফিক রেহমান, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ সহ-সকল পেশাজীবী নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের তীব্র সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, কি দুর্ভাগ্য আমাদের। জীবনের মায়া ত্যাগ করে যে দেশ স্বাধীন করেছিলাম সেই দেশে সারা জীবন যে মানুষটি গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন সেই শফিক রেহমানকে বর্তমান অবৈধ সরকার যে মিথ্যা অজুহাতে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি বলেন, শফিক রেহমান সারা জীবন গণতন্ত্রের পক্ষে লেখালেখি করেছেন। তার লেখায় কখনো সন্ত্রাসবাদের লেশমাত্র পাওয়া যায়নি।
দেশের হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে বর্তমান সরকারের পতনের কোনো বিকল্প পথ নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার পরমতসহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী নয়। তারা শুধু মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে আর সেটিকে তারা নিজেদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বুঝি সরকারের আসল মতলব কি। গণতন্ত্রের মুখোশ পরে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আর সেই পথে তাদের এক মাত্র বাঁধা বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি আরো বলেন, দেশে বর্তমানে নির্বাচনের নামে তামাশা চলছে। বিনা ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। আর যারা ভোটে নির্বাচিত হচ্ছে তাদেরকে কারাগারে যেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা হীরক রাজার দেশে বসবাস করছি। এই সরকার হীরক রাজার সরকার। দেশের জনগন এদেরকে মানে না। এই জনগনই যখন রশি ধরে দিবে টান হীরক রাজার এই সরকারের গদি ভেঙ্গে খান খান হবে। আর সেটি শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা.এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ,সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ।