হাইপারসোনিক বা শব্দের চেয়ে দ্রুতগতির ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে চীন।
পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের মতে, গত সপ্তাহে রাশিয়া অত্যাধুনিক হাইপারসনিক গ্লাইডার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর নতুন করে দেশটি পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো।
সাধারণত এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রকে গ্লাইডার বলা হয়। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে একে ছুঁড়ে দেয়া হয় ঊর্ধ্ব আবহমণ্ডলে। তারপর শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে যায় বলে একে গ্লাইডার বলা হয়।
গত শুক্রবার ডিএফ-জেডএফ নামে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় চীন। দেশটির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত উজুই কেন্দ্রে এ পরীক্ষা চালানো হয়।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন সূক্ষ্ম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র বহনের জন্য চীন এই গ্লাইডার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। এটি ব্যবহার করে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে আঘাত হানা সম্ভব।
ডিএফ-জেডএফ সম্পর্কে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য নিয়ে আতংকে ভুগছে আমেরিকা। ঘণ্টায় ১১ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটে গিয়ে এ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানতে পারে। ফলে অত্যাধুনিক এবং জটিল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়ার ক্ষমতা রাখে এটি।
পেন্টাগনের মূখপাত্র বিল আরবান বলেন, ‘আমরা চীনের এই সমরাস্ত্র আধুনিকায়নের দিকটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি’।
পেন্টাগনের অপর একজন কর্মকর্তা র্যান্ডি ফোরবেস বলেন, ‘চীনের এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা আমাদের জন্য বেশ উদ্বেগের’।
২০১৪ থেকে ২০১৫ সালে এ ক্ষেপণাস্ত্রের ছয় দফা সফল পরীক্ষা করছে চীন। এ নিয়ে এ ক্ষেপণাস্ত্রের সপ্তম পরীক্ষা চালানো হলো।