যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা দাস পাড়া গ্রামে অর্থের লালসায় এক নারীকে মারধোর করেছে জখম করেছে সন্ত্রাসী নেতা ও তার ছেলে। এঘটনায় ৩জনর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে শার্শা থানায় এ অভিযোগ দায়ের হয়। ভুক্তভোগী নারী শরিফা খাতুন জানান, ১৩ বছর বয়সে পরিবারের অভাব-অনটনের কারনে জীবিকার সন্ধানে ভারতে যায়। সেখানে লোকের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে দেশে মাকে টাকা পাঠাতো। সেই টাকা দিয়ে মায়ের নামে জমি কেনে আর কিছু লিজ নেয়। তার টাকায় ভিটা বাড়িও তৈরী করা হয়। সে অসুস্থ্য হলে ৫ মাস আগে ভারত থেকে দেশে চলে আসে। বাড়িতে ফিরে নিজের চিকিৎসা আর তার ৫ মাস বয়সি সন্তানের দুধের টাকা চাইলে মা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
এর মধ্যে মা কয়েকটি জমি বন্ধকের টাকা তুলে নিয়ে হঠাৎ করে জামা,কাপড় গুছিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে চায়। বাড়ি থেকে যেতে বাধা দিলে তার মায়ের সাথে অশান্তি হলে হাতাহাতি হয়। পরে তার মা বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রতিবেশি বাড়িতে উঠে। মায়ের কাছ থেকে টাকা খেয়ে তাদের বাড়িতে এসে তাদের দুই বোনকে বেধড়ক মারপিট ও রক্তাত্ব করে হুমকি দিয়ে যায় । পরে স্থানীয়দের পরামর্শে অপরাধীদের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিজের জীবনের সব সঞ্চয় হারিয়ে এখন অসহায় হয়ে পড়েছে বলে জানায়।তিনি আরো বলেন,ভারতে যাওয়ার আগে অল্প বয়সে খাবার কষ্ঠে বিভিন্ন গ্রামে ২০/২৫টাকায় দিন-মজুরি দিয়ে সেই টাকা দিয়ে খাবার সংগ্রহ করে অবশিষ্ট টাকা জমিয়ে সে আমলে কিছু জমি মায়ের নামে ক্রয় করে।আমারা তিন বোন কোন ভাই নেই, জমি ফিরিয়ে দিতে হবেনা মা বাড়িতে ফিরে আসুক।
এদিকে অভিযুক্তের জাহানারা খাতুন জানান, এ সম্প্রতি তৈরী করতে তার অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এসব মেয়ের একা না। এখন ওর সম্পতি দিলে বেঁচে কিনে চলে যাবে তাই দিচ্ছি না। জমি দিচ্ছি না বলে মেয়ে মারধোর করেছে বলে উল্টা অভিযোগ তোলেন মা। এদিকে অভিযুক্ত ফাইটার বলেন,তাদের পারিবারিক মারামারি থেকাতে গিয়ে যদি আমার দোষ দেয় তাহলে কিছু বলার নাই।আমি ও আমার ছেলে নির্দোষ। শার্শার গোগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, সংসারে অভাবের কারনে অনেক ছোট বেলায় মেয়েটি ভারত চলে যায়। ভারতে যাওয়ার আগে মেয়েটির মার নামে তেমন কোন সম্পদ ছিলনা। আমাদের জানা মতে মেয়ের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে পরে নিজের নামে এ সম্পদ করেছে। তবে দুই পক্ষ যদি বিচার দেয় তবে সম্পদের প্রকৃত মালিক কে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে খতিয়ে দেখে সু-বিচার করা হবে। শার্শা থানা পুলিশ জানান,থানায় মেয়ে পক্ষ অভিযোগ করেছে।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, উভয় পক্ষ বসে মিমাংসা করবে করোনা পরিস্থিতির জন্য এখন সম্ভব হচ্ছে না।