গাজীপুরে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে শাশুড়িকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত রোজিনা বেগম (২০) কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক উত্তরপাড়া এলাকার মো. পারভেজের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার ভারুয়ামারী গ্রামে।
মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ একেএম এনামুল হক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় প্রদান করেন।
গাজীপুর আদালতের পিপি মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ জানান, ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি মো. পারভেজ তার স্ত্রী ও মা পারভীন আক্তারকে বাড়িতে রেখে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান এবং সেখানে রাত্রিযাপন করেন। পরের দিন সকালে বাড়ি ফিরে মায়ের ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। এ সময় তার স্ত্রী রোজিনাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন।
এক পর্যায়ে রোজিনা পালানোর চেষ্টা করলে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় তাকে আটক করা হয়। পরে পারভেজ তার মায়ের বসত ঘরের বিছানায় লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রোজিনা হত্যার দায় স্বীকার করেন। কারণ হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত গৃহবধূ জানায়, পূর্ব ঝগড়ার জেরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শাশুড়িকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি নিহতের ছেলে পারভেজ বাদী হয়ে স্ত্রী রোজিনাকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ মে কালিয়োকৈরের মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. সাইফুল আলম রোজিনাকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন। ওই বছরের ১৬ নভেম্বর আসামি রোজিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন গাজীপুরের পিপি মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ, আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু।