
নয়া আল ডেস্কঃ- শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নারীকে হত্যার পর লাশ টুকরা করে গুম চেষ্টা মামলার মুল হোতা মাসুদ মিয়া (৩৪) ও তার আরেক সহযোগী আব্দুস সাত্তারকে (১৯) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আজ বুধবার ভোরে ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আগেই রাতে নালিতাবাড়ীর চাঁদগাও গ্রামের চাহাপাড়ার বাড়ী থেকে শহর আলীর ছেরে আব্দুস সত্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এনিয়ে ওই ঘটনায় সর্বমোট ৫ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি ওই মামার এজাহারভুক্ত আসামী চাঁদগাও গ্রামের মজিবর রহমানের স্ত্রী আবেদা খাতুন, নুর ইসমাইলের স্ত্রী মিনারা বেগম এবং আব্দুল মোতালেবের মেয়ে রওশন আরা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এখন জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে সাত্তার নামে তার আরেক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জানান, আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার হেফাজতে জিঙ্গাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন সহ মাসুদ ও সাত্তারকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।
গত ১৭ জানুয়ারি ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও পুর্বপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননী রোকশানা বেগমকে (২২) চালকলে কাজ করার কথা বলে ডেকে আনেন পাশ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের চাঁদগাও গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মাসুদ। তারপর থেকে ওই নারীর কোন সন্ধান মেলেনি। গত ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে চাঁদগাওয়ের সুরতখাল সংলগ্ন মাসুদের মামা মোতালেবের সদ্য রোপিত বোরো আবাদী জমির মাটি খুড়ে জমিতে পৃথক পৃথক ভাবে পুঁতে রাখা অবস্থায় রোকশানার লাশের খন্ডিত দেহ ও মাথা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অদ্যাবধি লাশের হাত ও পায়ের কোন সন্ধান মেলেনি।
এ ঘটনায় নিহতের মা জেলেহা বেগম বাদী হয়ে রোকশানাকে হত্যার পর পরিকল্পিতভাবে লাশ লুকানোর উদ্দেশ্যে টুকরা টুকরা করে পৃথকভাবে মাটিতে পুতে রাখার অভিযোগে মাসুদ, তার মামা মোতালেবসহ ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।