
বগুড়ার শেরপুরের শেরুয়া দহপাড়া এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ,এলোমেলো অবস্থায় ঝুলে থাকা প্রায় ২ শতাধিক বিদ্যৎ সংযোগের লাইনগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে হতাহতের ঘটনা। প্রতিটি আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগের তার বাঁশ ও গাছ ঘেঁষে ঝুলে রয়েছে। প্রায় বেশকিছু সংযোগ সরাসরি মাটির সাথে ঝুলে রয়েছে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। এভাবেই বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে। আর ওই স্থানটির পাশ দিয়ে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ফলে উপজেলার শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া দহপাড়া গ্রামের এ স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দ্রুত বিষয়টির সমাধান না করলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় সুধী মহল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া দহপাড়া গ্রামে বিদ্যুতের পোল দূরবর্তী স্থানে হওয়ায় আশপাশের মানুষ তাদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার টেনে বিদ্যুতের সংযোগ নেন। কিন্তু অনিরাপদ ভাবে এসব সংযোগ নেয়া হলেও বিষয়টি দেখার যেন কেউই নেই। ঝুঁলে থাকা এসব তারের পাশ দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাচল করছেন। ফলে সচেতন মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন।
সরেজমিনে শেরুয়া দহপড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে এ গ্রামটি অবস্থিত। একদিক থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটি শেরুয়া উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত অপর প্রান্ত থেকে সংযোগের খুঁটি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের বাড়ী পর্যন্ত। ফলে শেরুয়া নামাপাড়া এলাকাটি পোল থেকে দূরে হওয়ায় স্থানীয় দুই শতাধিকেরও বেশি আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহক বাঁশের খুঁটির সাহায্যে তার টেনে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এসব বাঁশের খুঁটিগুলো হেলে গিয়ে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি,বাঁশ ঝাড় ও গাছের উপর পড়ে রয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যবহার না করেই বিদ্যুতের সংযোগ নিয়েছেন এমন গ্রাহক রয়েছে সেখানে। এসব সংযোগের অনেক তার ঝুঁকিপূর্ণভাবে ঝুলে রয়েছে এবং মাটিতে পরে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ওই স্থানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নিশ্চিত প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।
ব্যবসায়ী আলহাজ্ব বছির উদ্দিন বলেন, গ্রামবাসী বিভিন্ন সময় বিদ্যুতের খুটির জন্য যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে আমাদেরকে জানালে আমরা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। মারাত্মকভাবে ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারগুলো দেখেছি। এসব বিদ্যুতের তারের কারণে নিশ্চিত প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে। তাই অতিদ্রুত বিষয়টির সমাধান দরকার।
গ্রামবাসীরা জানান, কয়েকবার গ্রামের মানুষ বিদ্যুতের সংযোগের তারগুলো মেরামত করতে অফিসে ধর্না দিলেও কোন কাজ হয়নি। এছাড়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরও জানানো হয়েছে।। বিদ্যুতের তারগুলো কৃষিজমি ও বাড়ি, গাছের ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নেয়া হয়েছে। যে কোনো সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে এর দায় কে নেবে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের ওই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আরমান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করেও খুঁটির ব্যবস্থা করতে পারিনি।
শেরপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, আমি কিছুদিন পূর্বে এই ষ্টেশনে যোগদান করেছি তাই বিষয়টি আমার জানা ছিলানা। আমি লোক পাঠিয়ে দেখে এসে খুব তাড়াতাড়ি এ লাইনগুলো ঠিক করা হবে।