ইমরান খান রাজ, দোহার প্রতিনিধি:- সারাদেশের ন্যায় ঢাকার দোহার উপজেলাতে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। কমে গেছে তাপমাত্রা। গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় সব কিছু আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি হচ্ছে চালকদের। সূর্যের দেখা মিলছে না অধিকাংশ সময়। খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ফুটপাথ ও শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে। তবে এবছর শীত বেশি হওয়াতে, শীতের পোশাকের দামও বেশি। তাই অনেকেই কিনতে পারছেন না পর্যাপ্ত শীতের পরিধেয়।
দোহারের সাতভিটা গ্রামের বাসিন্দা ও অত্র এলাকার (ইউপি সদস্য) মো: মজিদ মোড়ল জানান, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এবং ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢাকা পড়ে থাকায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। হঠাৎ শীত জেঁকে বসায় এখন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এসময় তিনি দোহারের অসহায় ও দরিদ্র মানুষদেরকে শীতবস্ত্র বিতরণ করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান।
কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসে অনেকে কাজে যেতে পারছেন না। দিনভর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে পথ-ঘাট। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। ঘন কুয়াশায় সারা দিন সূর্য দেখা যায়নি। শীতে শিশু এবং বয়স্করা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।
নারিশা এলাকার বাসিন্দা মাহিম হোসেন বলেন, গত চার দিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে পুড়ো দোহার। সাথে হিমেল বাতাস আর মৃদ শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। এতে বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
পৌষ মাসের শেষে এসে গত ছয় দিন ধরে দেশজুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়, ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস । মাঘ মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে চলমান শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা কমে আসার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।