ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ- দুপুর ১২টা। স্কুল বন্ধ, শিক্ষার্থী শিক্ষক কেউ নেই সব কক্ষে ঝুলছে তালা। স্থানীয়দের মোবাইল ফোনের খবরে তাৎক্ষনিক ছুটে যান উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব মোঃ রেজাউল করিম এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলরুবা খাতুন ও মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি খুলনাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তবে এর আগে বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার একই স্কুলে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষক নুরুননাহার পারভীনকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত পেয়েছিলেন। অন্য ৩ শিক্ষকের মধ্যে মোঃ রেজাউর রহমান, মোঃ বদর উদ্দিন ও দীপ্তি রানী মন্ডল কে অনুপস্থিত পেয়ে অফিসে ফিরে শোকজ করা হয়। এ সময় শোকজের চিঠি নিয়ে এমএলএস আব্দুস সাত্তার স্কুলে গিয়ে হতবাক। স্কুল বন্ধ পেয়ে তিনি কর্মকর্তাদের অবগত করানোর পর পরই প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তা ইউএনও উসমান গনিকে সাথে নিয়ে একটি পরিদর্শন টিম খুলনাবাজার স্কুলে হাজির হন। প্রধান শিক্ষক বিকাল ৪টার পূর্বেই দুপুর ১২টায় শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে চলে যান। কর্মকর্তাদের আকস্মিক এ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত এলাকার সাধারণ জনগণও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে আসেননা, ঠিকমত ক্লাসও হয়না। এ কারণে স্কুলটির কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সচেতন মহলে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম জানান, উক্ত স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।