জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ- ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের বড়কুলচারা গ্রামের অসহায় এক বিধবা নারীকে বাড়িতে তুলে দিলেন শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন। তার এই মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। জানা গেছে, গত ১০ বছর আগে শৈলকুপা উপজেলার বড়কুলচারা গ্রামের আমোদ আলী শিকদারের ছেলে এরশাদ আলীর সাথে লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার কোমরতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ মাস্টারের মেয়ে আসমা-উল-হুসনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ২ টি সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে কপাল পোড়ে আসমার। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল অকালমৃত্যু হয় স্বামি এরশাদ আলীর। দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে আসমা এরপর থেকেই স্বামীর বাড়ীতে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু গত ৪ ডিসেম্বর রাতে দেবর আনিসুর রহমান তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ীতে যেতে চাইলে তার দেবর তাকে বাড়িতে উঠতে দেয় না। বসত ঘরে তালা দিয়ে রাখে। ঘরে উঠতে চাইলে উল্টো তাকে হুমকি দেওয়া শুরু করে। বাড়ীতে না উঠতে পেরে তিনি একই গ্রামের তার বোনের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। এরপর তিনি দ্বারস্থ হন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ’র অফিসে। সেখান থেকে আসমাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীরের নিকট হাজির হন। ঘটনার বিবরণ শুনে ওসি আলমগীর হোসেন নিজ উদ্যোগে বড়কুলচারা গ্রামে আসেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান সোয়াইব জোয়ার্দ্দার, সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আসমার শ্বশুর আমোদ আলীর হাতে আসমাকে তুলে দেন। পরবর্তীতে কোন প্রকার নির্যাতনের ঘটনা যেন না ঘটে এ ব্যাপারে কঠোর নিদের্শনা দেন তিনি। স্বামী হারা আসমা খাতুন আবারো নিজের মাথা গোজার ঠাঁই খুজে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, ওসি’র এই মহতি উদ্যোগে আজ আমি আমার ঘর সংসার ফিরে পেয়েছি। এমন পুলিশ কর্মকর্তা দেশের প্রতিটি থানায় থাকলে আমার মত নির্যাতিতরা তাদের সুষ্ঠু বিচার পাবে।