সিরাজগঞ্জ জেলার মটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের সেবার মান ও আনুষঙ্গিক সুবিধা দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান লিটন। তিনি ২০২৩ সালে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের এর সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে সভাপতি সুলতান তালুকদার সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকলকে সঙ্গে নিয়ে এখন পর্যন্ত ১১৮টি মৃত শ্রমিক পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেছে। জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসের জন্য নিজস্ব জমির ক্রয়কৃত সকল ঋণ পরিশোধ করে দৃশ্যমান অফিস হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন শ্রমিকরা। শুধু সিরাজগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের অনুদানে সীমাবদ্ধ নয় পাশাপাশি শ্রমিকদের ব্যক্তিগত অর্থায়নেও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
জাতীয় দিবস, মে দিবস সহ বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে দেশ পরিচালনার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সামনে কথা বলার সুযোগ হলেই শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরে দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। গত ১ মে সরকারিভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া শহীদ এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় ২০১৮ সালের কালো আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য তুখোর বক্তব্য রাখেন। যা শ্রমিকদের মাঝে বেশ সমাদিত হয় এবং বেশ কিছু পত্রপত্রিকায় উঠে আসে।
সিরাজগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য জুয়েল হোসেন বলেন, আমাদের নেতা মনিরুজ্জামান লিটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। শ্রমিকের বিপদে আপদে সবার আগে মনিরুজ্জামান লিটন আমাদের পাশে থাকেন। তিনি আমাদের কর্মজীবনের সকল অসুবিধা সমাধানের পাশাপাশি পারিবারিক জীবনের অনেক সমস্যা নিরেশন করতে প্রয়াসেই সক্ষম হন। এছাড়াও তিনি শ্রমিকদের সার্বক্ষণিক ব্যক্তি উদ্যোগে সহযোগিতা করে থাকেন তিনি সর্বদাই একজন প্রচার বিমুখ মানুষ।
সামছু নামে এক শ্রমিক জানান, মনিরুজ্জামান লিটন ছেলেবেলা থেকেই একজন ভালো মনের অধিকারী একজন মানুষ। কারো বিপদ দেখলেই তিনি ছুটে যেতেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান লিটন বলেন, যতদিন বেঁচে আছি ততদিন শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য চেষ্টা করে যাব, আর জেলা মটর ইউনিয়নে যে তাদের প্রাপ্যতা তার সঠিক হকদারের নিকটে পৌঁছে দিব। মানুষের একটি সদিচ্ছায় তাকে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে। আমার সব ইচ্ছা ছিল যে শ্রমিকদের জন্য ভালো কিছু করার আশা করি আমি সেটা করেতে পেরেছি। ইতিমধ্যে আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ১১৮টি পরিবারকে তাদের নগদ ২০ হাজার টাকা করে বুঝিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও যেকোনো আইনের জটিলতা পারিবারিক জটিলতায় ডাকা মাত্র আমি শ্রমিকদের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।শ্রমিকরা আমাকে পাশে রাখলে আমি তাদের আরো সেবার মান বাড়িয়ে দিব।