
সাইফুল আলম সুমন,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ- গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী ইউনিয়নের লাকচতল সুইচগেট এলাকায় ধাউর খালের উপর নির্মিত একটি কালভার্ট ভেঙে পড়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ছে চলাচলকারী যাত্রীরা। কালভার্টটির কারণে বরমী লাকচতল সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। যে কোন সময় এতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের তথ্য মতে, বরমী-লাকচতল পাঁচ কিলোমিটার সড়কটি পাঁকা করা হয় বিগত ২০১৬ সালে। আর এ সড়কের ধাউর খালের উপর সুইচগেট সংলগ্ন স্থানে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয় ১৯৯৮ সালে। কিন্তু এ সড়কে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে এর একাংশ সম্প্রতি ধসে পড়েছে। বাকি অংশটুকুও ধসার আশঙ্কায় রয়েছে। তবে ভেঙে পড়া এ অংশের গর্তে প্রতিনিয়ত যানবাহন পড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। যদিও এখনও কালভার্টটি নির্মাণ অথবা সতর্কতার কোন প্রচার প্রদর্শণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সমাজকর্মী শ্রীপুর ইউসিসিএর সাবেক সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, গত দেড় মাস আগে ভারী এক বালুবাহী ট্রাকের কারণে কালভার্টটির একাংশ ভেঙে পড়ে, পরে ভাঙ্গা কালভার্টের এ অংশে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কয়েকটি যানবাহন। সর্বশেষ গত সোমবার এ গর্তের ২০ ফুট নিচে পড়ে একটি অটোরিক্সার যাত্রী শামান্তা নামের এক শিশু গুরুতর আহত হয়। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সুইচগেট এলাকার চা বিক্রেতা আমির হোসেন জানান, প্রথমে এর একাংশ ভেঙ্গে পড়লে বাকি অংশটুকুর নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা স্থানীয়রা বাঁশ সংগ্রহ করে নীচ দিয়ে দিয়ে দিয়েছি। তবে কালভার্টটির একাংশ ভেঙে পড়ার এক মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও সতর্কতার কোন নির্দেশনা দেয়নি কেউ। আর ভাঙ্গা অংশটুকু দূর হতে বুঝাও যায় না। এতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
স্থানীয় কামাল হোসের নামের একজন জানান, আমাদের নতুন রাস্তাার একমাত্র সমস্যা এই ভাঙ্গা কালভার্ট, এর কারণে আমরা ভারী যানবাহনে করে কোন ধরণের মালামাল পরিবহন করতে পারিনা।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক বাদল সরকার জানান, এখানের ভাঙ্গা অংশের বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুজায়েত হোসেন জানান, এ কালভার্টের একটি অংশ ভেঙ্গে পড়ার সংবাদ আমরা পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকায় এখানে আশরা সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদর্শন করা হবে। দুর্ভোগ লাগবে খুব শীগ্রই কালভার্টটি নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হবে।