![](https://www.naya-alo.com/wp-content/uploads/2018/02/SRiPURGAZiPUR-রাস্তায়-ফেলে-স্ত্রীকে-পেটানোর-ঘটনায়-স্বামী-গ্রেপ্তার.jpg)
সাইফুল আলম সুমন,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে জনসম্মুখে রাস্তায় ফেলে স্ত্রীকে পেটানোর ঘটনায় স্বামী ইব্রাহিম (৩৭) কে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। রবিবার দুপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের গোদারচালা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দ আজিজুল হক জানান, গত ২০জানুয়ারি নির্যাতনের ঘটনার দিনই নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ উপজেলার যুগিরসীট গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে ফরিদা বেগম(৩৪) মামলা দায়ের করেন। এতে ৫জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে চারজনকে ঘটনার দিনই সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার প্রধান আসামি গোদারচালা গ্রামের ফজলুল হক ফজলুর ছেলে ইব্রাহিম মিয়া দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে রোববার দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সাত বছর আগে তিন সন্তান রেখে মামলার বাদী ফরিদার প্রথম স্বামী পল্লী চিকিৎসক আব্দুল জলিল মারা যান। পরে ইব্রাহিম তাঁর স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তির লোভে ফুসলিয়ে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ইব্রাহিমকে নিয়ে পূর্বের সংসারের সন্তানদের সাথে তাঁর মৃত স্বামীর মুলাইদ এলাকায় রেখে যাওয়া বসতবাড়ীতে তাঁরা বসবাস করে আসছিলেন। পূর্বেও ইব্রাহিমের সংসারে প্রথম স্ত্রী ছিল। পরে বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সার জন্য ইব্রাহিম তাঁর উপর নির্যাতন করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে প্রথম স্বামীর রেখে যাওয়া মুলাইদের বাড়িটি বিক্রির জন্য সে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সম্প্রতি ইব্রাহিম তৃতীয় আরেকটি বিয়ে করে বউ বাড়ীতে আনে। এনিয়ে গত কয়েকদিন যাবৎ তাদের সংসারে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। ভরনপোষণও বন্ধ করে দেয় ইব্রাহিম। শনিবার স্বামীর কাছে খাবারের টাকা চাইলে সে বেদম মারধোর শুরু করে। পরে, ফরিদা স্বামীর অত্যাচার থেকে পালানোর চেষ্টা করে এমসি বাজার পর্যন্ত আসলে ইব্রাহিম তাঁর পথরোধ করে বেধম মারধোর শুরু করে। স্থানীয় এক যুবকের মুঠোফোনে ধারণ করা নির্যাতনের ভিডিও চিত্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে। বিকেলেই পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে নির্যাতিতা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় স্বামী ইব্রাহিম (৩৮), তৃতীয় স্ত্রী মৌরী আক্তার (২৫), মা জমিলা বেগম (৪৭), (ইব্রাহিমের শ্বাশুড়ি), শ্যালিকা নাসরিন সরকার (১৯) ও ফারজানা সুলতানা (২২) এর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।