
শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধি:- গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বারতোপা বাজারে পহেলা বৈশাখ থেকে পাঁচ দিন ব্যাপি শুরু হয়েছে মেলার নামে অশ্লীলনৃত্য জুয়ার আঁখড়া, বিপথগামী হয়ে উঠছে,উঠতি বয়সের যুবক/কিশোর শিক্ষার্থীসহ খেটে খাওয়া মানুষ। বারতোপা বাজারের উত্তর পাশে বিশাল সামিয়ানা টানিয়ে রাতভর নারীদের নগ্ন নৃত্য, মাদক সেবন, অসামাজিক র্কাযকলাপ ও নানা নামে চলছে জুয়ার আসর ।
রোববার রাত ৯টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলার ভিতরে প্রবেশের আগেই বিশাল বড় একটি গেইট । এই গেইটের লাগানো রয়েছে পুলিশ সুপার ও অপর পাশে রয়েছে গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন (সুবজ) ছবি। গেইট থেকে একটু ভিতরে গেলেই বিশাল বড় মাপের মাঠ,নেই কোন বৈশাখি মেলার আমেজ, একটু পশ্চিম পাশে গেলেই দেখা যাবে চলছে জুয়ার আসর । মাঠের মাঝখানের রয়েছে মুলমঞ্চ নেই কোন দলীয় নেতাদের আনাগোনা। মুল মঞ্চ থেকে উত্তর পাশে রয়েছে চারদিকে টিনদিয়ে বেড়া উপরে “তাসলিমা যাদু প্রর্দশনী” একটি সাইনর্বোড নামে লেখা রয়েছে। কিন্তু ব্যানারে যাদু প্রর্দশনী লেখা থাকলে ও নেই কোন যাদু প্রর্দশনী। গেইটে একজন সুন্দরী মহিলা ৫০ টাকার বিনিময়ে টিকেট বিক্রি করছে। যাদু প্রর্দশনী কথা জিজ্ঞেস করলে মুসকি হাসি দিয়ে মহিলা এড়িয়ে চলে যান।ভিতরে প্রবেশ করেই গানের তালে তালে চলছে নারীদের অশ্লীলনৃত্য। একের পর একনৃত্য চলছে,এভাবেই চলছে গভীর রাত র্পযন্ত।
মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি আশিক মামুদ (শাহা) মুঠোফোনে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কার কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে ? তিনি এসব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গিয়ে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
মাওনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম (খোকন) বলেন,বৈশাখি মেলা বাঙ্গালী উৎসবের আমেজ, এখানে মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীলনৃত্য বিষয়টি আমার জানা নেই তবে যদি এরকম কিছু হয় এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ। মেলা আয়োজক কমিটির লোকজন কোথা থেকে অনুমতি নিয়ে মেলার নামে অশ্লীলতা করছে জানি না।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রেহেনা আকতার জানান কোনো রকম মেলার অনুমতি সেখানে নেই। মেলার নামে কোন অশ্লীলতা, জুয়া খেলা হলে মেলা বন্ধ করে দ্রুত আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড: দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি,কোন অশ্লীলতা ও জুয়া খেলার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে মেলার আয়োজন ভেঙ্গেঁ দেওয়া হবে।